মুক্তিযুদ্ধকালীন নৌকমান্ডোর প্রতিষ্ঠাতা লেঃ গাজী রহমতুল্লাহ দাদুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট শেখ পাড়ার বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মুক্তিযুদ্ধে বিরোচিত ভূমিকার জন্য ১৯৭৩ সালে সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।
তিনি পাইকগাছার গড়ুইখালী গ্রামের ১৯৩৯ সালের ৪ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। শহরআলী গাজী তার পিতা ও অভিরন্নেছা তার মা। ১৯৫৪ সালে জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৬ সালে বিএল কলেজ থেকে আই এ এবং ১৯৭৪ সালে ইংল্যান্ডের ম্যানডন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে নৌবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে ৯ এপ্রিল পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে ভারতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। পাঁচশ নৌ কমান্ড নিয়ে ১৩২টি যুদ্ধ জাহাজ ধ্বংস করেন। তার দুই ভাই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। পাঁচ ভাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি আশাশুনি, চাপড়া, মোংলা, কপিলমুনি ও রেডিও সেন্টার যুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭১ সালে ১৭ ডিসেম্বর নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর জয়নাল আবেদীনের সাথে খুলনা সার্কিট হউজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। তার অমর সৃষ্টি গড়–ইখালীতে শহীদ আবু মুসা মেডিকেল কলেজ স্থাপন। ১৯৮০ সালে সাতক্ষীরা সুন্দরবন টেক্সটাইল মিল স্থাপনে অসামান্য অবদান রাখেন। ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ আশাশুনির প্রতাপনগরে ৪৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামফলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের এটি একমাত্র নামফলক।