মোবাইল ফোনে পরিচয়। অত:পর প্রেম নিবেদন। এরপর বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করা হয় দাকোপের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে দাকোপ উপজেলার কালাবগী গ্রামে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) এ অভিযোগে ধর্ষক মালেক সর্দারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনা বর্ণনা দিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষক। তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বিশ্বাস।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাকোপ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো: আশরাফুল আলম জানান, ভিকটিম দাকোপ উপজেলার কালাবগী গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ছাত্রী সে। মা-বাবার মধ্যে ছাড়াছাড়ি হওয়ার কারণে নানা বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করছিল। এরমধ্যে ইটভাটা শ্রমিক মালেক সর্দারের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। এক সময় তারা একে অপরের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু মেয়েটি জানত না যে তার আগে দু’টি বিয়ে ছিল। আগের ঘরে তিনটি সন্তানও রয়েছে মালেক সর্দারের।
গত ১৯ অক্টোবর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েটিকে কালাবগী থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে আসা হয় দক্ষিণ কামিনি বাসিয় গ্রামে। মালেকের বড়ভাই বাড়িতে না থাকার সুবাদে মেয়েটিকে উঠানো হয় ওই ঘরে। পরপর তিন দিন ওই ঘরে আটক রেখে ধর্ষণ করা হয় তাকে। পরে এলাকাবাসী জানতে পেরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মেয়েটিকে রেখে মালেক সর্দার ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
২৪ অক্টোবর মেয়েটিকে প্রতিবেশীদের সহায়তায় নানার কাছে পাঠানো হয়। ২৭ অক্টোবর মেয়েটিকে দাকোপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্তি করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের নানা সাইফুল্লাহ বাদী হয়ে মালেক সর্দারের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরবরর্তীতে মালেক সর্দার ওই মেয়েটি বিয়ে করা কথা বলে এলাকায় অবস্থান নিলে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের নিকট ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে তাকে আদালতে আনা হয়। জবানবন্দি শেষে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই