সাতক্ষীরার ভোমরায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সদর উপজেলার লক্ষিদাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে রবিবার লম্পট মাসুদকে আটক করে পুলিশ। আটক মাসুদ হোসেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লহ্মাদাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার ভোমরা লহ্মীদাড়ী এলাকার এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী কয়েক মাস আগে তার চাচার বাড়িতে বেড়াতে যায়। এসময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালের ২৭ মে এবং ৩ ডিসেম্বর একই এলাকার লম্পট মাসুদ ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে। সে সময় কৌশলে মেয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ওই লম্পট মাসুদ। পরে ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী ওই মেয়ের বাবার কাছে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে সময় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে কিছু ছবি দিলেও পরবর্তীতে আবারো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে মাসুদ। টাকা না দিলে বাকি সব ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সে।
এ বিষয়ে মাসুদের বড় ভাই সাব্বিরের কাছে অভিযোগ দিলে তিনিও চাঁদার টাকার জন্য মেয়ের বাবাকে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মাসুদের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় সে ওই ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটসহ মোবাইলের বিভিন্ন এ্যাপসে ছড়িয়ে দিতে থাকে। একপর্যায় ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই সাতক্ষীরা সদর থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত লম্পট মাসুদকে আটক করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার ওই লম্পটের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম