খুলনা নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স-এর শিক্ষার্থী তামান্না আহমেদ সিথিকে হত্যা প্রচেষ্টার প্রতিবাদে নির্যাতন বিরোধী জোট খুলনার উদ্যোগে ১৫ জানুয়ারি শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন জোটের আহবায়ক মিজানুর রহমান বাবু এবং পরিচালনা করেন নাগরিক নেতা এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহবায়ক এ্যাড. আ ফ ম মহসীন, পরিবেশ সুরক্ষায় উপকূলীয় জোটের আহবায়ক এস এম শাহনওয়াজ আলী, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্লা হাসান আহমেদ, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিল্টন, মাসাসের নির্বাহী পরিচালক নারী নেত্রী শামীমা সুলতানা শিলু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলন খুলনার সভাপতি মনির চৌধুরী সোহেল, তামান্না সিথি’র পিতা এস এম ইব্রাহিম আহমেদ, বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুবুর রহমান খোকন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি কোহিনুর কণা, আঃ লীগ নেতা ইকবাল কবির লিটন, মো: আব্দুস সালাম বাবু, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এম এম জাফর ইকবাল, গৃহ নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি খোকন হাওলাদার, সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি শাহ মো: ওহিদুজ্জামান, নান্দনিক একাডেমীর এম এম শওকাত, যুবলীগ নেতা রাসেদুজ্জামান রিপন, বাবলু, মতিয়ার রহমান মতি, সুকান্ত মন্ডল, সুমন, চাঁন, জিহাদুর রহমান জিহাদ, রেজাওয়ানুর রহমান জয়, মো: বদরুজ্জামান বদি, এস এম জাবেদ পারভেজ, মাহমুদা আক্তার মিনি, মনিরুজ্জামান মাসুদ, হৃদয়, গফফর, স্বেচ্ছাসেবক লীগের রুবেল, মো: জাকির হোসেন, রমজান আলী প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত ১৯ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাড়ী ফিরার পথে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে শফিউল আলম রাব্বি নামক এক সন্ত্রসী হামলা করে সিথিকে পেট-স্পর্শকাতর স্থানসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি মারে। সে ৬ দিন যাবত আইসিইউ-তে ছিল। এখনও শঙ্কামুক্ত নয়।
এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং আসামি শফিউল আলম রাব্বি বর্তমানে কারাগারে।
সমাবেশে বক্তারা, অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রাব্বিসহ জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানান।