অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প ও নিয়ম বহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ, প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে সকল অনিয়ম দীর্ঘসূত্রিতা ও দুর্নীতি বন্ধ, রূপসা বাইপাস শিপইয়ার্ড রোড, নিরালা রোড, গল্লামারী থেকে রায়েরমহল, আড়ংঘাটা থেকে রায়েরমহল সড়কের কাজ দ্রুত শুরু, বিদায়ী চেয়ারম্যান আবুল মকিম সরকারের দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্ত, কেডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগের দাবিতে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’র উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কেডিএ-এর সম্মুখে অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়। অবস্থানে ধর্মঘটে খুলনার সকল রাজনৈতিক, কেসিসি’র কাউন্সিলর, পেশাজীবী, সামাজিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি’র সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামানের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোঃ জাফর ইমাম, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, বিএনপি মহিলা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ রেহেনা আক্তার, কেসিসি প্যানেল মেয়র মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাউন্সিলর মোঃ আনিসুর রহমান বিশ্বাস, কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন, কাউন্সিলর জেড এ মাহামুদ ডন, কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বিকু কাজী, কাউন্সিলর ওয়াদুদ মুন্সী, কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিণ্টু, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনি, কাউন্সিলর শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, কাউন্সিলর ডালিম হাওলাদার, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সাহিদা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর কণিকা সাহা, সাবেক কাউন্সিলর মামুনুরা জাকির খুকুমনি, নাগরিক নেতা এড. আ ফ ম মহসীন, সুজন সম্পাদক এড. কুদরত-ই-খুদা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মোঃ আবু হানিফ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুখ হাসানা হিটলু, চেম্বার পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল, দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব, শিক্ষক নেতা লিয়াকত হোসেন, রেজাউল ইসলাম, শেখ জাহিদুজ্জামান, তৌহিদুজ্জামান, শহিদুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, নাসিমা বেগম, আমরা খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর আলম খোকন, জাতীয় পার্টি নেতা মোঃ তোবারেক হোসেন তপু, নারী নেত্রী রসু আক্তার, উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোঃ আবুল বাশার, মিজানুর রহমান বাবু, কোষাধ্যক্ষ মিনা আজিজুর রহমান, আজিজুল ইসলাম আরজু, যুগ্ম মহাসচিব এড. শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, মোঃ মনিরুজ্জামান রহিম, মিজানুর রহমান জিয়া, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মীর বরকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মনিরুল ইসলাম, যুব ইউনিয়ন মহানগর সভাপতি আফজাল হোসেন রাজু, শেখ আবিদ উল্লাহ, মংলা বন্দর ব্যবহারকারী নেতা আলহাজ্ব মিজানুর রহমান টিংকু, রকিব উদ্দিন ফরাজী, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন আন্দোলনের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা সমন্বয়কারী মুনীর চৌধুরী সোহেল, আগুয়ান ৭১-এর সভাপতি আব্দুল্লাহ চৌধুরী, আবিদ হাসান শান্ত, উন্নয়ন ফোরামের মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, সালাম ঢালী, খুলনা উন্নয়ন পরিষদের বাচ্চু, নিসচা’র জেলা সভাপতি মোঃ হাছিবুর রহমান হাছিব, নগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক আজম খান, নারীনেত্রী ইসরাত আরা হিরা, ইদ্রিস আলী খান, এস এম দেলোয়ার হোসেন, বিশ্বাস জাফর আহমেদ, আব্দুস সালাম, ইলিয়াস মোল্লা, শেখ আব্দুস সালাম প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান, এর সাথে কেডিএ, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, সড়ক ও জনপথ সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন না হলে সকল সেবা থেকে নগরবাসী বঞ্চিত হবে। কেডিএ-এর চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে খুলনার উন্নয়ন গতিশীল করা, কেডিএ-এর প্রকল্প বাস্তবায়নে জনভোগান্তি এবং অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প ও নিয়ম বহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ এবং ৫০ বছরের উন্নয়নকে সামনে রেখে পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান হয়। বর্তমান সরকার খুলনার উন্নয়নে এক প্রকল্পে একাধিকবার অর্থ বরাদ্দ দিলেও কেডিএ-এর ব্যর্থতার কারণে কোনো প্রকল্পই সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না, যার কারণে নগরবাসী কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল ভোগ করতে পারছে না। নগরবাসী এতে থেকে মুক্তি চায়।
খুলনা গেজেট/এনএম