বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের ভোট বর্জনের মাধ্যমে খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়ে বিরতীহীনভাবে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত চলে। নির্বাচনে ১ হাজার ৩৮৭ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ১৮৪ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করেছেন বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে খুলনা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আইনজীবীদের দুটি প্যানেল অংশ নিয়েছিল। ওই নির্বাচনে ১ হাজার ৩৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছিলেন ১ হাজার ২৩১ জন।
জানা গেছে, এদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে প্রতিপক্ষ পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় আদালত পাড়ায় তেমন কোন জাকজমক আয়োজন দেখা যায়নি। দুপুরের পর থেকে আইনজীবী সমিতির সামনে তেমন ভিড়ও পরিলক্ষিত হয়নি।
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোল্লা লিয়াকত আলী খুলনা গেজেটকে বলেন, এবারের নির্বাচনে আইনজীবী সমিতির সদস্যরা স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। সকালের দিকে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের কিছু সদস্য তাদের ভোট প্রদান করেন। এমনকি তাদের এজেন্ট এড. জিল্লুর রহমান ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবী সমিতির মোট ভোটার হলেন হাজার ৩৮৭ জন। সেখানে ১ হাজার ১৮৪ জন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করেছেন।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, প্রতিপক্ষ পরিষদের সদস্যরা তাদের ভোট বর্জন করে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। রাতে তারা সমর্থিত প্রত্যেক সদস্যকে সকালে ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রদান বিরত থাকার জন্য আহবান জানান। কিন্তু কেউ তাদের কথা মনেননি। সকালে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
তবে সর্বদলীয় আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এম কে শহিদুল আলম বলেন, সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। সকাল থেকে নির্বাচন কেন্দ্র ছিল ফাঁকা। দুপুরের পর থেকে আরও ফাঁকা হয়ে যায়। এ পরিষদের অনেক সদস্য ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেনি। প্রতিপক্ষ পরিষদের সদস্যরা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের সাথে আতাত করে ভোট কেটে ব্যালটবাক্স ভর্তি করেছেন।