উচ্চ আদালতে একজন বিচারপতিকে নিয়ে ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ কারণে হাইকোর্টের তলবে হাজির না হওয়া বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে ফের আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার এ আদেশ দেওয়া হয়।
এর আগে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে পাবনা জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়লে হাইকোর্ট গত ১৫ অক্টোবর স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এক আদেশ দেন। যেখানে হাবিবুর রহমানকে তার বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ৬ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আজ বুধবার তিনি হাইকোর্টে হাজির না হওয়ায় বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসানকে দুই দিনের মধ্যে কথা বলে হাবিবের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দেন এবং এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। সে ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান যে, তিনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা তাকে জানিয়েছেন যে, হাবিবুর রহমান হাবিবের স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, হাবিবুর রহমান কোথায় আছে তা তারা জানেন না। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের থেকে এই তথ্য জানার পর আজ হাইকোর্ট পুলিশের আইজির প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাবিবকে অবিলম্বে আদালত হাজির করতে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। বিটিআরসির আইনজীবী আদালতকে জানান, আদেশ অনুযায়ী হাবিবুর রহমান হাবিবের দেওয়া ‘অবমাননাকর বক্তব্য’ ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর তৎকালীন বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। এরপর ২০১৯ সালে মো. আখতারুজ্জামান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এই বিচারপতিকে নিয়েই ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম