যশোর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় অগ্নি সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নেই। জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাসী বিএনপি জামায়াত জোটকে এদেশের শান্তিপূর্ণ জনগণ প্রত্যাখান করেছে। তারা বাংলার মাটিতে আর কোনদিন মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারবেনা।
শনিবার বিকেলে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে চুড়ামনকাটি, কাশিমপুর ও হৈবতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিএনপি-জামায়াত জোটের দেশব্যাপি নৈরাজ্যর প্রতিবাদে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে বসে তারেক জিয়া দেশে নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে নানা কৌশল করছে। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন দেশবাসী কখনো পূরণ হতে দেবে না। তাদের সকল নৈরাজ্য রাজপথে থেকে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেয়া আহবান জানান।
সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সবুর হেলাল, সাইফুল ইসলাম তুহিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, অ্যাডভোকেট সেতারা খাতুন, চুড়ামনকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন, কাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, হৈবতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, কাশিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিদুর রহমান শহিদ, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, হৈবতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল হক, চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, টিপু সুলতান, তৌহিদুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দীন, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাকির হোসেন দারা, যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান রুনু, ছাত্রলীগ নেতা তানভির রকসি প্রমুখ।
এদিকে, একইদিন বিকেলে যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া বাজারে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুরূপ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপিসহ জেলা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, যশোরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হলেও শহর ছিল ব্যতিক্রম। এদিন শহরের কোথাও শান্তি সমাবেশ করেনি জেলা আওয়ামী লীগ।
সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ও বসুন্দিয়ায় দুটি সমাবেশ শেষে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল করেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড