যশোর কোতোয়ালি থানায় বিএনপির ৩৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরও একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় আট নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে পাঁচটি ককটেল, দু’টি রড, চারটি পাইপ ও ১২টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
আটককৃতরা হলেন, শহরের পালবাড়ি এলাকার একরামুল কবির সুমন, নুরপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন মিঠুন, চাঁচড়া চোরমারা দিঘিরপাড় এলাকার রবিউল ইসলাম রবি, ঘুনী নাথপাড়ার হুমায়ুন কবীর, একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দীন, রহেলাপুর পূর্বপাড়ার আব্দুল গফুর, তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমান ও একরাম আলী। এ মামলায় ৩১ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
সোমবার সকালে দায়ের করা মামলায় বাদী এসআই সেকেন্দার আবু জাফর উল্লেখ করেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে সদর উপজেলার নুরপুর গ্রামের মুন্সি বেলায়েত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিএনপি সমর্থকরা সরকার ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজের জন্য একত্রিত হয়েছে। তাৎক্ষণিক তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ওই এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে পুলিশ ওই আট জনকে আটক করে। অন্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে আটক আসামিদের শরীর তল্লাশি করে পাঁচটি ককটেল, দু’টি রড, চারটি পাইপ ও ১২টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয় বিশেষ ক্ষমতা আইনে। ওই মামলায় ১৭ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ছয়টি ককটেল ও ৪৯ পিছ পাথর উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করে পুলিশ। ওই মামলায় আরও দু’ ডজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ সোমবার ৩৯ জনকে আসামি করে এ মামলাটি করা হয়।