যশোর সদর উপজেলার কচুয়া ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে রূপদিয়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে ও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষকালে যশোর-খুলনা মহাসড়কে একঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
চুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সকাল দশটায় বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সমাবেশ শেষে রূপদিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এসময় পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হাতে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, একটি প্রাইভেটকার ও নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে ৪ জনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় আতঙ্কে রূপদিয়া বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় একঘন্টা যাবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় যমোর-খুলনা মহাসড়কে। পরবর্তীতে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ গড়লে বাজার ফাঁকা হয়ে যায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা চালিয়েছে ও তার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তবে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এতে তাদের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।