রাত পোহালেই সকাল থেকে লকডাউনের খবরে সাধারণ মানুষ ছুটছে নিজ নিজ গন্তব্যে। ফলে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখী মানুষের ছুটাছুটি করতে দেখা যায়। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে অনীহা দেখা যায়। সোমবার (০৫ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউন চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
ঘরমুখি মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার জন্য খুলনা সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ভিড় করে। সকাল থেকে যেমন তেমন দুপুড় গড়াতেই উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বিকালে বাসের টিকিট কাটতে বিভিন্ন কাউন্টারে ছুটেছেন ঘরমুখি এসব মানুষ।
পাইকগাছার যাত্রী সাহাবুদ্দিন বলেন, খুলনায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজ করি। এক সপ্তাহের লকডাউনের কারণে বাড়িতে যাচ্ছি। মা, বাবা, স্ত্রী-সন্তান সবাই পাইকগাছা থাকেন।
কুষ্টিয়ার যাত্রী আব্দুল আজিজ বলেন, খুলনায় জরুরী কাজে গত শুক্রবার এসেছিলাম। কয়েকদিন থাকার ইচ্ছা ছিল। তবে যেহেতু লকডাউন তাই দ্রুত সব কাজ সেরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছি। রূপসা নামের একটি বাসের টিকিট কেটেছি, একটু পরেই যাত্রা করবো ইনশাল্লাহ।
খুলনা রেল স্টেশনের মাষ্টার মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, স্টেশনে আজ সকাল থেকে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় রয়েছে। লকডাউনের কারণে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেন আজ রাত ১২ টার পর থেকে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। সেই সংবাদে ঘরমুখী মানুষ স্টেশনে এসে ভীড় করছে। তবে যাদের টিকিট থাকবে তারাই যাত্রা করতে পারবেন।
এদিকে ঘরমুখি মানুষের বাড়ি ফেরার জন্য বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনগুলোতে যেমন ভিড় ছিল, তেমনই খুলনার বড় বাজার ও হেরাজ মার্কেটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। সাধারণ মানুষের ভিড়ে সকাল থেকেই মার্কেটে মানুষ ছুটেছেন কেনাকাটার জন্য। দুপুরে মানুষের ভিড়ের কারণে মার্কেট সংলগ্ন সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টি হয়। সামাজিক দুরত্বের বালাই ছিল না। অধিকাংশের মুখেই নেই কোন মাস্ক। দোকানদারদের অনেকেই বলছেন লকডাউন ঘোষণা হওয়াতে ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে। আর ক্রেতারা বলছেন লকডাউনে ঘরবন্দি হওয়ার আগেই কেনাকাটা সেরে ফেললাম। সাধারণ ক্রেতার পাশাপাশি খুচরা বিক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়।