মোচাবিহীন কলা। শুনতে আশ্চর্যজনক মনে হলেও সত্য ঘটনা। ব্যস্তবে এমনি একটি ঘটনার জন্ম হয়েছে খুলনার রূপসা উপজেলার আলাইপুর গ্রামে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, ঘাটভোগ ইউনিয়নের আলাইপুর বাজার দুর্গা মন্দির সংলগ্ন বাসুদেব কর্মকারের বাড়িতে এ মোচা বিহীন কলার সন্ধান মিলেছে।
পরিণত কলাগাছে প্রথমে ফুল হয় এবং ফুল থেকে মোচা আসে এরপর মোচা থেকে কলার ছড়া বের হয়। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু এই নিয়মের ব্যতিক্রম করে একটি কলাগাছে মোচা বিহীন কলা ধরেছে। এই কলাগাছে কখনো ফুল ও মোচা আসেনি। গাছে সরাসরি কলার ছড়া বের হয়েছে।
কলা গাছের মালিক বাসুদেব কর্মকার বলেন, মোচা বিহীন কলার ছড়া আমার বাড়িতে হয়েছে। কলা গুলো অত্যন্ত বড় হয়েছে। সাগর কলা ও বাংলা কলার মাঝামাঝি এর অবস্থা। কলার সাইজটা কাঁচা কলার মত। বিচিবিহীন এই কলাকে অনেকে ঔষধি কলা হিসেবেও বলে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সমীর মালি বলেন, মোচা বিহীন কলার কথা শুনে মনে ব্যাপক কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। মোচা ছাড়া কলা বিষয়টি প্রথমে অবিশ্বাস্য হলেও এখন দেখছি সত্য। দেখার জন্য আমার মত অনেক লোকজন বিভিন্ন স্থান থেকে আসেছে।
কলা চাষী নাদের আলী ভূঁইয়া (অব: আর্মি) জানান, আমাদের দেশে প্রায় ৪০/৫০ জাতের কলার চাষ হয়ে থাকে। কলার প্রচলিত জাতগুলোতে পুষ্প মঞ্জুরীর গোড়ার দিকের ফুলগুলো কলায় পরিণত হয়।আর আগার দিকের ফুল ও পুষ্প বারকগুলো মোচায় পরিণত হয়। এজাতের কলার পুষ্প মঞ্জুরীর সব ফুলই কলাই রূপান্তরিত হয়েছে। তাই কোন মোচা হয় নাই। মোচা বিহীন কলা একটি নতুন জাত। চারা পেলে এ জাতের কলা চাষের উদ্যোগ নিয়েছি।
এবিষয়ে রূপসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ জাতীয় কলা অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণ রয়েছে। যার কারনে নতুন এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
খুলনা গেজেট/কেডি