খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

বাগেরহাটে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান বুথে নেই স্বাস্থ্যবিধি

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন করনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ভ্যাকসিন প্রদান বুথে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্য বিধি। রেডক্রিসেন্টের নিবন্ধন টেবিলের সামনে গাদাগাদি করা লোক। একজনের শরীরের সাথে অন্যজনের শরীরে মেশানো। বুথের বাইরে টিকা গ্রহিতাদের উপচে পড়া ভীড়। দীর্ঘ লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে আছেন নানা বয়সী মানুষ। কেউ কেউ ছাতা নিয়ে, আবার কেউ হাতের ব্যাগ মাথায় দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রোদের মধ্যে। নারী ও বৃদ্ধরা পড়েছে বিড়ম্বনায়। লাইনে দাঁড়ানো লোকদের গাঁ ঘেসে হেটে যাচ্ছেন, কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীনর রোগীর স্বজনরা। ভ্যাকসিন গ্রহিতার ভীড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। সোমবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের সামনে টিকা গ্রহিতাতের এই চিত্র দেখা যায়। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, যারা আজকের জন্য ম্যাসেজ পেয়েছেন শুধুমাত্র তারা আসলে এই ভীড় হত না।যাদেরকে টিকার ম্যাসেজ দেওয়া হয়নি, তারা আসায় অতিরিক্ত ভীড় হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানাযায়, দুই দফায় সিনোফার্মের পাওয়া ২৮ হাজার ৪০০ টিকা রয়েছে বাগেরহাটে। সরকারি নির্দেষনা অনুযায়ী ৮ তারিখ থেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে পাঁচটি বুথে এই টিকা দেওয়া হচ্ছে। ৮, ১০ এবং ১১ জুলাই এই তিন দিনে নিবন্ধিত ২ হাজার ৬৩০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

টিকা গ্রহিতারা বলছেন, সকাল সাতটা থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছি। চার ঘন্টা দাড়িয়েও টিকা দিতে পারিনি। এখানে বসার জায়গা নেই, প্রচুর রোদে দাড়িয়ে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একটু পানির ব্যবস্থা নেই এখানে। আবার স্বাস্থ্য বিধিও মানছে না কেউ।

বাগেরহাট রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব প্রধান শরিফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ৮ জুলাই থেকেই আমাদের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেসবক এখানে কাজ করছে। কিন্তু টিকা নিতে আসা লোকের চাপ এত বেশি যে আমরা তাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছি। টিকা গ্রহিতারা বসে অপেক্ষা করবে এমন কোন জায়গা ছিল না। আমরা বসার জন্য একটি প্যান্ডেলও করেছি। লোক এত বেশি যে সবাইকে বসতেও দেওয়া যাচ্ছে না। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সকলকে স্বাভাবিকভাবে টিকা দিয়ে বাড়ি ফেরাতে।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, প্রতিদিন ৪০০ মানুষকে টিকা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। আমরা চারশ মানুষকেই ম্যাসেজ দিয়েছি। কিন্তু ম্যাসেজ না পেয়েও কিছু মানুষ টিকা কার্ড নিয়ে হাসপাতালে এসেছে। যার ফলে এই ভীড়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদের না আসতে অনুৎসাহিত করছি।মাইকিং করে তাদেরকে না আসার জন্য বলে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যারা রেজিষ্ট্রেশন করেছেন তারা সবাই টিকা পাবেন।তারা হুরো করার কিছু নেই। আমাদের পর্যাপ্ত টিকার মজুত রয়েছে। এই টিকা দেওয়া শেষ হলে আমাদেরকে আরও টিকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।

খুলনা গেজেট/  টি আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!