খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা
  ৭ ব্যক্তিকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বাংলাদেশের কাছে প্রায় সবক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান- এমন মন্তব্য জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের একজন কলাম লেখক। দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউজ সেই কলাম প্রকাম করেছে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পত্রিকাটির বিজনেস পেজে এই মতামত কলামটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার শিরোনাম করা হয় ‘অ্যা স্টোরি অব নেগলেট’।

প্রকাশিত কলামে মনসুর আহমদ লিখেছেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে উদাহরণ। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের চেয়ে বেশি এবং দেশটির অর্থনীতি ভারতের পর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধমান। গত দুই বছর ধরে পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় কমছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নতির বর্ণনা দিয়ে পাকিস্তানি লেখক বলেন, এই অঞ্চলে প্রাথমিকে তালিকাভুক্তির হার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি। আর পাকিস্তানের সবচেয়ে কম। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের হারও পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পার্থক্য তুলে ধরে লেখক বলেছেন, পাকিস্তানে বেশি চিকিৎসক, নার্স এবং ক্লিনিক বেশি থাকলেও বাংলাদেশিরা পাকিস্তানিদের চেয়ে গড়ে তিন বছর বেশি বাঁচে। পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে শিশুমৃত্যু অর্ধেক। আবার বাংলাদেশ পোলিও মুক্ত দেশ। আর পাকিস্তান বিশ্বের সেই দুই দেশের একটি, যেখানে এখনো পোলিও আছে। সম্প্রতি নাইজেরিয়াকেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পোলিও মুক্ত ঘোষণা করেছে।

নারীদের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে লেখক কলামটিতে লিখেছেন, এই অঞ্চলের অধিকাংশ দেশের তুলনায় বাংলাদেশ নারীদের উন্নতির জন্য বেশি পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা সফল পরিবার পরিকল্পনা প্রোগ্রামের মাধ্যমে শুধু গর্ভধারণই কমায়নি, নারীদের জীবনমানেও পরিবর্তন এনেছে। লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পরিকল্পনাকারীরা আন্তরিকতাহীন কাজের মূল্য দিচ্ছে। এই অঞ্চলে পাকিস্তানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার সবচেয়ে বেশি। ১৯৯০ সালের দিকে টেক্সটাইল ইন্ড্রাসটি চালু করা বাংলাদেশে এখন ৮০ শতাংশ কর্মী নারী। এটি তাদের আয় এবং জীবনমান দুটোরই উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের নারীরা এখন পারিবারিক সুস্থতা রক্ষায় এবং সন্তানদের লেখাপড়ায় অনেক অর্থ খরচ করেন। কিন্তু পাকিস্তানে এই চিত্র ঠিক উল্টো।

বাংলাদেশের নীতি-নির্ধারকদের প্রশংসা করে কলামের শেষে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে ব্যাপক উন্নতির জন্য দেরি করা সাজে না। নীতি-নির্ধারকদের কমিটমেন্টই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!