নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের রাগ যেন বাংলাদেশের উপর দিয়ে মেটাল ইংল্যান্ড। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে রান পাহাড়ে চাপা দিল জস বাটলারের দল। রুট-মালানের ব্যাটিং তাণ্ডবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান সংগ্রহ করে থ্রি লায়ন্সরা।
বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পেতে সাকিবদের টার্গেট ৩৬৫ রান। জিততে হলে নতুন রেকর্ডই গড়তে হবে টাইগারদের। কারণ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২১ রান তাড়া করে জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ জয় পেয়েছিল দলটি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিল ইংল্যান্ড। মালান-বেয়ারস্টোর ব্যাটে রকেটের গতিতে বাড়ে ইংলিশদের রান। পাওয়ারপ্লেতে দুই ওপেনারের কাছে পাত্তাই পায়নি টাইগার বোলাররা। উইকেট পেতে মরিয়া বাংলাদেশ প্রথম ১০ ওভারেই ব্যবহার করে ৫ বোলার। ৪৯ বলে প্রথম পঞ্চাশের পর ইংল্যান্ড শতক ছুঁয়েছে ৯৩ বলে। উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে বড় পুঁজির ভিত গড়ে দেন দুই ইংলিশ ওপেনার। মালান-বেয়ারস্টোর এই জুটি থামে ১১৫ রানে। ইংলিশ ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে ৫২ রানে বোল্ড করেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটের সঙ্গে ১৫১ রানের জুটি গড়েন মালান। ১০৭ বলে ১৬ চার ও পাঁচ ছক্কায় ১৪০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন মালান। ৩৮তম ওভারে তাকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন মাহেদী। তবে এরপরেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। শরীফুল ইসলাম ও শেখ মাহেদির দুর্দান্ত বোলিংয়ে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড।
লাল-সবুজের দলকে তৃতীয় সাফল্য এনে দেন শরীফুল ইসলাম। ১০ বলে ২০ রান করে ঝড়ের ইঙ্গিত দেওয়া বাটলারকে বোল্ড করেন তিনি। এরপর ইংলিশরা হারায় সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া রুটকে। ৬৮ বলে ৮২ রান করা রুটকে সাজঘরের পথ দেখান শরীফুল। রুটের পর লিয়াম লিভিংস্টোনকে শূন্য রানে বোল্ড করে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি এই পেসার।
এরপর ইংলিশ শিবিরে জোড়া শিকার করেন মাহেদী। ব্রুককে ফিরিয়েছেন ২০ রানে, কারেনকে ফেরান ১১ রানে। একই পথে হেটেছেন আদিল রশিদও। মাহেদীর বলে ১১ রানে ফিরেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রান তুলে ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশের পক্ষে ৭১ রান দিয়ে চার উইকেট শিকার করেন অভিষিক্ত শেখ মাহেদী। তিন উইকেট নিতে শরীফুল দেন ৭৫ রান। একটি করে নেন সাকিব ও তাসকিন আহমেদ।
খুলনা গেজেট/ এনএম/টিএ