খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার আহবান বিএনপির: মির্জা ফখরুল
  চলমান ইস্যুতে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান প্রধান উপদেষ্টার: প্রেস সচিব
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৮

বসন্তে হরেক রকম ফুলে সৌরভ ছড়াচ্ছে খুবি ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চোখ পড়লেই এখন দেখা যাবে নানা বর্ণের ফুলের সমারোহ। ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা ক্যাম্পাস যা এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। নানা প্রকারের গাঁদা, আকাশি সাদা স্নোবল, সালভিয়া, দোপাটি, ক্যালেন্ডোলা, দায়েনথাঁচ, ফ্লোগর্স, ইন্টালিয়াম, স্নাকড্রাগন, পেনজি, কারিয়াফছি, ভারবিনা, পিটুনিয়া, স্টার গোল্ড, মৌচন্ডা, পানচাটিয়া, অ্যালমন্ডা, গ্লাডিয়া, তালপাম্প, চন্দ্রমল্লিকা, ইনকা, ছোট চায়না গাঁদা, মোরগঝুঁঁটি, কসমস, জুঁই, চামেলি ছাড়াও আছে টগর, বেলি এবং সাইকাস, ক্রিসমাস, জবা, রঙ্গন এমনি কি কয়েকটি গাছে পলাশ ফুলও শোভা পাচ্ছে।

পলাশের ডাল ভরে গেছে ফুলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের চারপাশ জুড়েই ফুল আর ফুল। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত ম্যুরাল ‘কালজয়ী মুজিব’ এর সম্মুখভাবে শোভা পাচ্ছে অসংখ্য ফুল। যেন কার্পেটের মতো বিছানো। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন, শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন, অগ্রণী ব্যাংক, পোস্ট অফিস ভবন, ওয়াকওয়ে, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হল, উপাচার্যের বাসভবন প্রাঙ্গণেও ফুটেছে নানা প্রকারের ফুল।

করোনার মহামারীর কারণে এবার বসন্তের আগমনী দিনে কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও খুবি ক্যাম্পাস শোভিত নানা বর্ণের ফুলে। প্রস্ফুটিত ফুল যেন বসন্তের আবাহনে উন্মুখ, আর দর্শনার্থী তেমন না থাকলেও মনে হচ্ছে ফুল ফুটে পথ চেয়ে আছে। বসন্তের প্রথম দিনে আজ সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি অনেককেই ছবি তুলতে দেখা যায়। দুপুরের পর থেকে অনুমতি নিয়ে প্রাক্তন, শিক্ষার্থী, দর্শনার্থীরা প্রবেশ করে ব্যস্ত হয়ে যায় ছবি তোলায়। সবুজ ক্যাম্পাসের ইটপাথরে গড়া ভবনের সামনে দ্যুতি ছড়াচ্ছে রঙ-বেরঙের বাহারি ফুল। নজরকাড়া সব ফুলের মন মাতানো সৌরভ আর স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ সবাই। সৌন্দর্য বাড়িয়েছে প্রস্ফুটিত ফুল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার উপ-রেজিস্ট্রার কৃষ্ণপদ দাশ জানান, গত বছরের ন্যায় এবারও ক্যাম্পাসে ফুল ফোটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এবারও লাগানো চারায় ভালো ভাবেই ফুল ফুটেছে। তবে মাঝে একদিন বৃষ্টি হওয়ায় ফুলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তা সত্ত্বেও এবার ফুল আরও ১৫ দিন ভালো ভাবেই থাকবে বলে আমরা আশা করছি। ক্যাম্পাসে আরও নতুন ফুলের চারা লাগানো যায়, তবে সেক্ষেত্রে জনবল ও চারা ক্রয়সহ নার্সিংয়ে আরও বাজেট বাড়ানো দরকার।

খুলনা গেজেট/কেএম

 

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!