ভালভাসা দিবস, পহেলা ফাগুন এবং পিঠা মেলা ও বসন্ত উৎসবে বর্ণিল ছিল খুলনা প্রেসক্লাব চত্বর। নানা রংঙের নানা বর্ণের পোশাকে সজ্জিত দর্শনার্থীদের ভিড়ে নতুন এক আবাহ তৈরি হয়েছিল প্রেস ক্লাব অঙ্গণে। হাসি উচ্ছ্বাস আর আনন্দের সাতরংঙা পৃথিবীতে ফাগুন যেন অনন্ত শক্তির উৎস। ভালবাসা দিবসে প্রেসক্লাব অঙ্গণে তারুণ্যের উচ্ছাসে শেষ হলো ৩ দিনব্যাপী পিঠা মেলা ও বসন্ত উৎসব।
সমাপনি উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রান, বিশেষ অতিথি হিসেবে গাজী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. গাজী মিজানুর রহমান।
সমাপনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ক্লাবের সহকারী সম্পাদক (সাংস্কৃতিক সম্পাদক) মাহবুবুর রহমান মুন্না।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য এস এম নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ বিমল সাহা, ক্লাব সদস্য মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, ওয়াহেদ-উজ-জামান বুলু, শেখ শামসুদ্দীন দোহা, শেখ তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ, শেখ মো: সেলিম, ক্লাবের ইউজার সদস্য আর জি উজ্জল, রোটারিয়ান আল জামাল ভূঁইয়াসহ অন্যান্য সাংবাদিক ও অতিথিবৃন্দ।
উৎসবে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন জয়া’স কুকিং’য়ের জয়ন্তী দাস জয়া। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন কিচেন কুইন’র সালমা বানু। আর তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন বাহারী পিঠাঘর’র আকলীমা সুলতানা এবং পিয়াস কুইজিন’র রেহানা মোর্ত্তোজা।
এরআগে বিচারক হিসাবে উৎসবে অংশ নেওয়া স্টলগুলোতে পিঠার স্বাদ ও মান পরীক্ষা করেন আজমেরী রওশন, জাকিয়া আলম লিজা, লিন্ডা ফাতেমা তুজজোহরা ও রুশমী আহমেদ। উৎসবের পুরস্কার স্পন্সর করেন রোটারী ক্লাব অব রূপসা’র সেক্রেটারী ও মফিজ এন্ড লাবিব এসোসিয়েটস’র প্রোপাইটার মফিজ আহমেদ মজুমদার। উৎসবে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের স্বনামধন্য ৩৬টি স্টল অংশ গ্রহণ করে।