খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, মহানগরীর বিদ্যমান বর্জ্য-ব্যবস্থাপনাকে আরো উন্নত ও টেকসই করতে কেসিসি বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থাও এ কাজে সহযোগিতা করছে। নগরীতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করাই এখন মূল লক্ষ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সিটি মেয়র আজ বুধবার বেলা ১১টায় নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে কেসিসি’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাস্টারপ্লান প্রণয়ন সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। খুলনা মহানগরীর বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত ও টেকসই করার লক্ষ্যে বাস্তবায়নযোগ্য একটি মাস্টারপ্লান প্রণয়নের লক্ষ্যে সাসটেইনেবল ক্যাপাসিটি বিল্ডিং টু রিডিউস ইরিভার্সিবল পলিউশন বাই প্লাস্টিকস (এসসিপিআই) প্রকল্পের আওতায় এ সভার আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশনসহ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং জার্মানের বাউহাউস বিশ্ববিদ্যালয় বাইমার (বিইউডব্লিউ) যৌথভাবে খুলনা মহানগরীতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
সভায় মাস্টারপ্লান প্রণয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে বলা হয়, বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং ব্যবস্থাপনার জন্য কিছু অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরবর্তীতে প্রযুক্তিগত, লজিস্টিক ও অর্থনৈতিক সুযোগগুলির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে মাস্টারপ্লান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় নীতি নির্দেশিকা ও গৃহীত মাস্টারপ্লান সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখবে। এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জড়িত স্টেকহোল্ডারদের উন্নত প্রশিণ প্রদানের পাশাপাশি জনসচেতনা সৃষ্টির ল্েয কাজ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
প্রকল্প পরিচালক ও কুয়েটের অধ্যাপক ড. মোঃ রাফিজুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রকল্পের সাইন্টিফিক এক্সপার্ট ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। অন্যান্যের মধ্যে প্রফেসর ড. খান মাহবুব, প্রফেসর ড. এস এম মনিরুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক ড. মো: ইসমাইল হোসেন, প্রকল্পের সহকারী পরিচালক সুব্রত পাল, কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: আব্দুল আজিজ, কঞ্জারভেন্সী অফিসার প্রকৌশলী মো: আনিসুর রহমান, প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার, আর্কিটেক্ট রেজবিনা খানম, সহকারী কঞ্জারভেন্সী অফিসার নূরুন্নাহার এ্যানীসহ প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ সভায় মতমত ব্যক্ত করেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই