খুলনায় বন্ধুকে আটক রেখে বান্ধবী স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সাড়ে ১১ নগরীর খালিশপুর এলাকার মদিনাবাগ আবাসিক এলাকায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এ ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন যুবক হল, পাবলা সবুজ সংঘ মাঠ এলাকার মো: জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো: মেজবাহ উদ্দীন, একই এলাকার মো: সুজন মোল্লার ছেলে মো: ইমন মোল্লা ও পাবলা বৈরাগীপাড়া এলাকার মোা: মাহারাজ চৌকিদারের ছেলে মো: শিমুল চৌকিদার।
খালিশপুর থানার পুলিশ জানায়, গণধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী নগরীর দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ফুলবাড়িগেট আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার সকালে বন্ধু মারুফের সাথে ঘুরতে বের হন। দৌলতপুর শামীম হোটেলে অবস্থানের সময় মারুফ তার বন্ধু ও ফুফাতো ভাই মেজবাহকে ফোন দেয়। ফোনের বিপরীত থেকে জানানো হয় ভাবীকে নিয়ে ঘুরতে আয়।
মারুফ ফোন পেয়ে ভিকটিমকে নিয়ে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে ইজিবাইক যোগে দৌলতপুরের পাবলা সবুজ সংঘ মাঠের দিকে যায়। তখন মেজবাহ তার অপর দু’বন্ধু জয়নাল ও শিমুলকে সাথে নিয়ে ইজিবাইকে খালিশপুর মদিনাবাগ এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় মারুফের কাছে মেজবাহ টাকা দাবি করে। তার কাছে টাকা না থাকায় আটকে রেখে উল্লেখিত যুবকরা বান্ধবীকে একের পর এক ধর্ষণ করে। পরে তাদের দু’জনকে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জাহাঙ্গীর বলেন, আসামি মেজবাহ মারুফের বন্ধু ও ফুফাতো ভাই। মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ করলে আসামি তিনজনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি তিনজনই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসজেড