হারিয়ে যাওয়া দেশীয় জাতের বীজ বিনিময়, প্রদর্শণী ও বিপননের জন্য আজ বুধবার ( ৩০ মার্চ ) খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গ্রামীণ বীজমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘লোকজ’ আয়োজিত এই মেলায় এলাকার অর্ধশতাধিক নারী কৃষক তাদের সংরক্ষিত বীজ নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেন। ব্যতিক্রমধর্মী এই মেলার প্রত্যেকটি স্টলে ২৫ থেকে ১১০ জাত ও প্রজাতির ফলজ, বনজ ও সবজি বীজ প্রদর্শিত হয়। বীজ মেলায় কৃষকরা হাইব্রিড নয়; বীজ রাখা যায়, সার-কীটনাশক কম লাগে এমন উচ্চ ফলনশীল ইনব্রিড জাত উদ্ভাবনের দাবি জানান।
মিজরিওর জার্মানীর সহযোগিতায় ৩০টি কৃষক সংগঠন মেলাটির আয়োজক সহযোগি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের সভাপতিত্বে মেলা শেষে আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো: রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার শামীম আরা নিপা ও গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আসলাম হালদার, খগেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু বিশ্বাস, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বুলু রায় গাঙ্গুলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন মিয়া, ডা. শৈলেন্দ্রনাথ মল্লিক, কৃষক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক বিভাস মন্ডল প্রমুখ।
বীজ মেলায় প্রদর্শিত কৃষকদের বীজের স্টলগুলো থেকে বীজের সংখ্যা, বীজের বৈচিত্র্যময়তা, বীজের মান এবং বীজ উপস্থাপন কৌশলের উপর ভিত্তি করে একটি নির্বাচনী প্যানেলের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী নারী কৃষকদের মধ্যে লক্ষী রাণী ঢালী প্রথম, দিশা সরকার দ্বিতীয় এবং শংকরী সরকারকে তৃতীয় নির্বাচিত করে পুরষ্কার প্রদানসহ মেলায় অংশগ্রহণকারী সকল নারী কৃৃষকদের পুরস্কৃত করা হয়। স্থানীয় ১৭টি গ্রামের অর্ধশতাধিক নারী কৃষকরা ব্যতিক্রমধর্মী এই বীজ মেলায় তাদের সংগৃহীত ও সংরক্ষিত বীজ প্রদর্শন, বিনিময় এবং বিপনন করছেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই