খুলনায় চেতনানাশক দ্রব্য পান করিয়ে ত্রিশোর্ধ্ব এক নারীকে শ্লীততাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরপর ঘর থেকে নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার কালিবাড়ি এলাকার শান্তিনগরে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এ ধরণের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্বামী খাবার খেয়ে প্রথম স্ত্রীর কাছে চলে যান। এরপর তিনি রাতের খাবার খেয়ে পাঁচ বছরের কন্যাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে মুখে মাস্ক পরা ৩ যুবক দেওয়াল টপকিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। বিশেষ কায়দায় ঘরের দরজা খুলে তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। ওই ৩ যুবকের কাছে থাকা ধারালো ছুরি গলায় ধরে তাকে চেতনানাশক দ্রব্য পান করায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ভোর ৫ টা থেকে তার বমি শুরু হয়। এরপর আবারও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সকাল ৮ টার দিকে পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান ঘুম থেকে উঠে মাকে ডেকে উঠায়। এ সময় তার পরণে কোন কাপড় ছিল না।
ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার হাতের সোনার এবং রূপার আংটি ও ওয়ারড্রবের মধ্যে রাখা নগদ ৫ হাজার টাকা খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। শিশু কন্যা তার বাবাকে ফোন করে ঘটনাটি বলার পর ওই এলাকার কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ওই নারীর স্বামী। এসময় ভূক্তভোগী নারী ঘটনাটি তার স্বামী খুলে বলে। পরবর্তীতে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভিকটিমের স্বামী বলেন, রাতে বাড়ি ছিলাম না। সকালে মেয়ে ফোনে ঘটনাটি বললে বাড়ি এসে স্ত্রীর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। স্ত্রীর অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জাহেদুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ থানায় এখনও আসেনি। তবে এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।