বটিয়াঘাটা উপজেলার হাটবাটি গ্রামের তিলোত্তমা মন্ডল পুতুল হত্যাকান্ড নাটকীয় মোড় নিয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই শ্যালিকাকে হত্যা করে ভগ্নিপতি। এ ব্যাপারে ভগ্নিপতি প্রকাশ মিস্ত্রি আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত -১ এর বিচারক মো: মনিরুজ্জামান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
প্রকাশের জবানবন্দির উদ্ধৃতি দিয়ে আদালত সূত্র জানান, ১২ ডিসেম্বর রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে ঘুম থেকে জাগায় প্রকাশ। এক কেজি ওজনের একটি বাটখারা দিয়ে মেরুদন্ড বরাবর সজোরে আঘাত করা হয়। সে ব্যাথায় ছটফট করতে থাকে। আঘাতে মৃত্যু না হওয়াতে ঘাতক প্রকাশ ভিকটিমকে মাটিতে ফেলে বাটখারা দিয়ে শ্বাসনালীতে একাধিকবার আঘাত করে। পরে নিহতের শরীরে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় পুতুলের।
এরপর তার স্ত্রী ঘুমন্ত দিপিকাকে ডেকে ওঠায় প্রকাশ। ধারালে দা দিয়ে নিজের স্ত্রীকে কোপাতে থাকে সে। স্ত্রীকে তিনি মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে স্ত্রী বেঁচে যান। নিজেকে রক্তাক্ত জখম দেখানোর জন্য দা দিয়ে শরীরে একাধিক কোঁপ দেয়। পরিকল্পনা মোতাবেক পরে ঘটনার দায় প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে বক্তব্য দেয় সে।
এ হত্যাকান্ড নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হলে এলাকায় ছায়া তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সোর্স ও বিভিন্ন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়ে রোববার থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে ঘটনার বিবরণ দেয় প্রকাশ। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাইলে আজ তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়।
বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ শাহাজালাল জানান, পুলিশের সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকাশ ও তার স্ত্রীকে থানায় আসার জন্য ডাকা হয়। সে হত্যাকান্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকাশ মিস্ত্রিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই