খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

বটিয়াঘাটায় অর্থনৈতিক উপদেষ্টার পৈত্রিক জমি বেদখল!

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের পৈত্রিক সম্পত্তি বেদখলে রয়েছে বলে জানা যায়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর জমি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মসিউর রহমানের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান খুলনা গেজেটকে বলেন, বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের রাইঙ্গামারী মৌজায় ড. মসিউর রহমানের প্রায় ১ একর জমি রয়েছে। যে জমি তিনি পৈত্রিক সূত্রে লাভ করেছেন। উক্ত জমির মালিক ওয়ারেশ সূত্রে ড. মসিউর রহমান এবং তার বোনেরা। ১৯৬৬ সালে তার বাবা মুন্সী আঃ জব্বার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের রাইঙ্গামারী মৌজার দশমিক ৯০৪০ একর জমি আকবার শেখের কাছ থেকে ক্রয় করেন। যার জমির দলিল নং ৩০৫৮/১৯৬৬। এরপর জায়গা বুঝে পাওয়ার জন্য মসিউর রহমান ২০১৩ সালে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। যার নং-১২২৯। মামলা দায়েরের ২ বছর পর ২০১৫ সালের ২১ জুন বিজ্ঞ আদালত মামলার রায় প্রদান করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট তিনি নাম পত্তনের জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক বটিয়াঘাটা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নামজারীর জন্য আবেদন করেন। যার কেস নং -২৭৫ (১১)/২০১৫-২০১৬।

তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালে বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সার্ভেয়ার কর্তৃক দাগ ওয়ারী জমি মেপে জমির সীমানা নির্ধারণ করে দেন। রাইঙ্গামারী মৌজার ৪টি খতিয়ান যথাক্রমে ০১,১০৭,৩৪, ১২৯ ও ৪ টি দাগে ড. মসিউর রহমানের মোট জমির পরিমাণ দশমিক ৯০৪০ একর। এরমধ্যে ২২৬৫ দাগে ৪৩ শতাংশ, ২২৬৪ দাগে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ, ২২৭৬ দাগে ৩৬.দশমিক ২৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ও ২২৬০ দাগে দশমিক ০৫ শতাংশ। বাংলা ১৪৩০ সাল পর্যন্ত উক্ত জমির খাজনা পরিশোধ রয়েছে।

হাফিজুর রহমান জানান, ৪ টি দাগ থেকে প্রায় ৪৫ শতাংশ জমি স্থানীয় ভূমি দস্যুদের দখলে রয়েছে। উপদেষ্টা মহোদয়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমি এবং রিয়াজ ভাই (এম এ রিয়াজ কচি) পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি দেখাশুনো করে থাকি। স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় বেদখলি জমি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করলে স্থানীয় ওই সকল ভূমি দস্যু এবং তাদের সাঙ্গ পাঙ্গরা উপদেষ্টাকে জড়িয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া এবং মানহানিকর কথাবার্তা বলে বেড়াচ্ছেন।

বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খুলনা গেজেটকে বলেন, আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। তফশিল অফিস থেকে সরেজমিনে গিয়ে মেপে দেখবে সরকারি সম্পত্তি কতটুকু আছে। বিষয়টি এসি ল্যান্ড অফিস দেখছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ আহমেদ খুলনা গেজেটকে বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর উক্ত জমি যারা নিজেদের বলে দাবি করছেন তাদেরকে আমরা বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ডেকেছি। বৈধ কাগজপত্র সংগে আনতে বলেছি।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!