খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১২১৮
  বিএনপি কর্মী খুনের মামলায় সাবের হোসেন ৫ দিনের রিমান্ডে
  সামিট গ্রুপের আজিজসহ পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ

বঙ্গবন্ধু জাতের ধান শোভা পাবে এবার খুলনার বোরো ক্ষে‌তে

কাজী মোতাহার রহমান

স্বল্প সময়ে ফসল পাওয়ার লক্ষে এবার খুলনার আট উপজেলায় বোরো ক্ষেতে বঙ্গবন্ধু জাতের ধান শোভা পাবে। পাঁচ বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এ জাত আবিস্কার করেছে। ইতিমধ্যেই জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নতুন জাত দিয়ে বীজতলা তৈরি হয়েছে। অন্য জাতের তুলনায় গবেষণা ইনস্টিটিউটের নতুন জাতের ধানের ফলন হেক্টর প্রতি এক টন বৃদ্ধি পাবে। চালের আকার হবে মিনিকেট সাইজের।

জেলায় এখন বোরো’র ভরা মৌসুম। উৎপাদন বৃ‌দ্ধির লক্ষে চাষিরা হাইব্রিড জাতের বীজতলা বেশি তৈরি করেছে। গত দু’ বছর যাবৎ হাইব্রিডে উৎপাদন বেশি এবং খাদ্যের সংকট মেটাচ্ছে। এসিআই, ব্রাক ও সরকারি হাইব্রিড জাতের পাশাপাশি ভারতীয় বিভিন্ন কোম্পানির বীজ দিয়ে বোরো বীজতলা তৈরি হয়েছে।

খুলনা মহানগর, রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা ও কয়রায় বঙ্গবন্ধু জাতের বোরো ধানের বীজ পরীক্ষামূলকভাবে পাঠানো হয়েছে। প্রতি উপজেলায় বিনামূল্যে ৫ কেজি করে বীজ সরবরাহ হয়েছে। বীজতলায় ৩৫ দিন বয়স থেকে এ জাতের চারা রোপন করা যাবে। ১৪৮ দিনের মধ্যেই ফসল কাটার মত উপযুক্ত হয়ে উঠবে। বিআর-৭৪ ও বিআর-৮৪’র চেয়ে এর ফলন বেশি। ক্ষেত্র বিশেষে হেক্টর প্রতি সাড়ে ৭টন থেকে সাড়ে ৮ টন পর্যন্ত উৎপাদন হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মহাদেব চন্দ্র সাহা জানান, এ জাতের ধানকে জনপ্রিয় করার লক্ষে এই প্রথম বারের মত আবাদ শুরু করা হলো। এতে রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড় আক্রমনের পরিমান কম হবে। ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম ও জিংক তিন কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। নাইজারশাইল ও জিরা ধানের মতই বঙ্গবন্ধু জাতের ধানের আকৃতি।

পাইকগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের দেওয়া তথ্য মতে, বীজ দেরিতে পাওয়ায় বিতরণে বিলম্ব হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই বিতরণ করা হবে। নতুন জাতের জন্য উঁচু স্থানে বীজতলা তৈরি করা হবে। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃসি কর্মকর্তা মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানান, গুটুদিয়া ও বলাবুনিয়ায় চারজন কৃষকের মাঝ্যে বিনামূল্যে বীজস সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি আশাবাদী, এ জাতের ধান ১৪৮ দিনের মধ্যে খামারে তোলা সম্ভব হবে। অন্য জাতের তুলনায় হেক্টর প্রতি এক টন বেশি উৎপাদন হবে। সে কারণেই দ্রুত জনপ্রিয়তা পাবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!