খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানাধীন জনতা মার্কেট সংলগ্ন বালুর মাঠে জমে উঠেছে বিভিন্ন প্রজাতির কবুতরের হাট। সৌখিন ও শখের পেশা হিসেবে কবুতর পালনে উৎসাহী হয়ে উঠছেন যুব সমাজ।হাত খরচের অর্থ সংকুলান করতে লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা কবুতর পালনে আগ্রহী হয়ে ওঠার কথা জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
সরোজমিনে শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ীগেট কবুতর হাঁটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাবিক্রেতাদের উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে কবুতরের হাট। নানা রং ও নানা প্রজাতির কবুতরের খাঁচায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে চাহিদা অনুযায়ি এ খাঁচা ওখাঁচা ঘুরে কিনছেন পছন্দের কবুতর।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন জালালি, গোলা, গিরিবাজ, লোটন, জাতের চাহিদা বেশি। এর পাশাপাশি উন্নত জাতগুলোর অনেক দামের কারণে বেচাকেনা অনেকটা কম হয়।ছোট বাচ্চা ছাড়া অন্য কবুতরের দাম রয়েছে ১০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত।
জালাল নামের একজন কবুতর ব্যবসায়ী বলেন, ফুলতলা ও দিঘলিয়া উপজেলার মধ্যে ফুলবাড়ীগেটের কবুতরের হাট অন্যতম । তবে এখানে অনেক বেশি দামের কবুতর বিক্রি হয় কম। ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা জোড়ার কবুতর বেচাকেনা খুব বেশি। আমি প্রায় ৮ বছর ধরে কবুতরের ব্যবসা করে আসছি। সম্প্রতি অনেকটায় বেড়েছে কবুতর পালন।
কাওসার নামে একজন কবুতর ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে কবুতর পালন করছি। পড়ালেখা শেষ করেছি। এখনও হয়নি চাকরি। বাপের কাছ থেকে টাকা চাইতে পারিনা তাই বাড়িতে কবুতর পালন করি।
মূলত দুপুরের পর থেকে হাট-বাজারগুলোতে বেচাকেনা বাড়তে থাকে। একদিকে যেমন বাজারে বিভিন্ন ব্যক্তি আসেন তাদের পোষা কবুতর বিক্রি করতে, একইভাবে পাইকার বিক্রেতারাও কবুতর বিক্রি করে থাকেন এই হাটে। হাটের বেশির ভাগ বিক্রেতাই শৌখিন কবুতর পালনকারী। নিজের সংগ্রহের বাড়তিগুলো যেমন বিক্রি করছেন, তেমনি অন্য পছন্দ হলে তা কিনে নিজের সংগ্রহ সমৃদ্ধ করছেন। কবুতরের পাশাপাশি হাটে অন্যান্য পাখি ও খরগোশের দেখা মেলে।
কবুতর ব্যবসায়ী মুরাদ হাটে কিং সিরাজির দাম হাঁকাচ্ছিলেন জোড়াপ্রতি ৫ হাজার, গিরিবাজের দাম চাচ্ছিলেন ৬৫০ টাকা জোড়া। এছাড়া হাটে কিং সিরাজি, গিরিবাজ, কাজ্জী, সিলভার সিরাজি, জিরাগলা, লক্ষাসহ নানা জাতের কবুতর আছে।