খুলনার বিএনপির মহাসমাবেশে নদী পথে ট্রলারযোগে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ফুলতলা উপজেলা বিএনপির অন্তত অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদেরকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে বলে উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের অভিযোগ।
দলীয় সূত্র জানায়, সড়ক পথে গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় শনিবার সকাল ৯টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশী বাধা অতিক্রম করে ভৈরব নদীর ফুলতলা ও শিকিরহাট ঘাট দিয়ে ৯টি ট্রলারযোগে খুলনার মহাসমাবেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এনামুল ভুইয়া পারভেজ বলেন, দুপুর আনুমানিক সোয়া ১২টার দিকে ট্রলার বহরটি খুলনার ৫নং ঘাট এলাকায় পৌছালে ৫/৬টি ট্রলার নিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডাররা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, রাম দা, ইটের খোয়া ও রেলের পাথর দিয়ে সমাবেশগামী ট্রলারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁদের হামলায় বিএনপির অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার (৫৪) যুগ্ম আহবায়ক শেখ লুৎফর রহমান (৬০), বিএনপি নেতা মোল্যা মনিরুল ইসলাম (৫৪), আব্দুল্লাহ (৩০), সাজ্জাদুজ্জামান (৫০), জিয়াউর রহমা( ৪৫), মোঃ তাছির (৫৬), জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫), ইয়াছিন আলী (৩৬), শেখ হাবিুবর রহমান (৪৫), সোহরাব হোসেন (৫৬), ইকরামুল বিশ^াস (৩৫), হারিুন মোল্য (৪৮), ফেরদাউস মোলা (৪৪) শেখ সিরাজুল ইসলাম (৫০) আঃ মজিদ (৬০) সুনিল দাস (৪৮), সুমন সরদার (৩৮), আঃ গফ্ফার শেখ (৫৫) কে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তবে আব্দুল্লাহর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানাস্তর করা হয়। এছাড়া আহত অন্যান্য নেতাকর্মীরা খুলনার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়। ঘটনার সময়ে আত্মরক্ষার্থে শতাধিক নেতাকর্মী নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের অনেকের সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।
খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান বলেন, আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খুলনার মহাসমাবেশ ভুন্ডুল করার জন্য গত ৩দিন ধরে পাইতারা চালাচ্ছিল। তারাই ফুলতলা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ফুলতলা থানার ওসি মোঃ ইলিয়াস তালুকদার বলেন, ঘটনাটি খুলনা এলাকাতে ঘটেছে, ফলে আইনগত বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারের বাইরে।