খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু এবং তার দেহরক্ষী নওশের গাজী হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। রোববার (২২ মে) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই খুলনার ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল্লাহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত ‘ছ’ অঞ্চলে এই চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে খুলনা অঞ্চলের শীর্ষ চরমপন্থী নেতা শিমুল ভূঁইয়াসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ইন্সপেক্টর মো. শহীদুল্লাহ জানান, প্রথমে ফুলতলা থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে ৮ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিল। ওই চার্জশিটের বিষয়ে নিহতের পরিবার আদালতে নারাজি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে আদালত মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়। তিনি তদন্ত শেষে আগের চার্জশিটে নাম থাকা বিএনপি নেতা ড. মামুন রহমানকে অব্যাহতি দেন। ড. মামুন রহমান ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বরে লন্ডনে মারা যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আগের চার্জশিটের ৭ জন ও নতুন করে ৩ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছে পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতা শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ, মনিরুল ইসলাম ওরফে পিটপিটে সুমন, মো. তাইজুল ইসলাম রনি, মুশফিকুর রহমান রিফাত ভূঁইয়া, মো. শিমুল হাওলাদার, বিএনপি নেতা হাসনাত রিজভি ওরফে মার্শাল ভূঁইয়া, শিমুল ভূঁইয়ার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ওরফে মুক্তা, রিপন ফকির, বাদল মিয়া ও নিয়ামুল ইসলাম ওরফে শেখ ইমামুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ মে রাতে ফুলতলা উপজেলার নতুন হাট এলাকায় নিজ বাড়ির বিপরীতে নিজস্ব অফিসে বসে ছিলেন মিঠু ও তার দেহরক্ষী নওশের। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে তারা নিহত হন। এ ঘটনায় নিহত মিঠুর ভাই মো. রাজ সরদার বাদী হয়ে ২৭ মে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।
খুলনা গেজেট/এমএম