জয় দিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্টের শুভ সূচনা করেছে নাজমুল একাদশ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে নাজমুলের দল। রবিবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতকে ১৯৬ রানে অলআউট হয় তার দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুরের অর্ধশতকে সহজেই জয় তুলে নেয় নাজমুল একাদশ।
১৯৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ একাদশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান তোলা কঠিন হয়ে পড়ে। ৭৯ রানে ৫ উকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় নাজমুল একাদশ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে জয়ে পথ দেখান তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর। বেশ আস্থার সঙ্গেই অর্ধশতক তুলে নেন তারা। দলের জয়কে সজহ করে দেন তারা। হৃদয় যখন ৫২ রান করে আউট হন দলের জয় থেকে ১৩ রান দূরে নাজমুল একাদশ। এরপর ইরাফান ও নাঈম হাসান দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ৪১.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ করে নাজমুলের দল। ইরফান ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। মাহমুদউল্লাহ একাদশের এবাদত হোসেন ৩টি এবং মাহমুদউল্লাহ, রাকিবুল হাসান ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ভালো সূচনার আভাস দেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস। তবে ৩ ওভারে ১৭ রান তুলতেই বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
বৃষ্টির থামার পর আবার খেলা শুরু হলে ব্যক্তিগত ৭ রানে রান আউট হয়ে ফেরত যান নাঈম শেখ। এরপর দলীয় ২১ রানে লিটনের উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। মুমিনুল হক শূন্য রানে আল-আমিন হোসেনের বলে আউট হলে ২১ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েস। পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন তারা। ইমরুল ৪১ রান করে নাঈম হাসানের বলে প্যাভিলিয়নে ফেরত গেলে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি।
দলীয় ১২৬ রানে নুরুল হাসান সোহান ১৪ রান করে রান আউটের শিকার হন। তবে একপাশ আগলে রেখে খেলতে থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তুলে নেন সিরিজের প্রথম ফিফটি। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর বলে আউট হওয়ার আগে ৮২ বলে ৫১ রান করেছেন তিনি। পরে ২২ রান করা সাব্বির রহমানও মুগ্ধর শিকারে পরিণত হন। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান বড় রানের দেখা না পেলে ৪৭.২ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট হয় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। নাজমুল একাদশের তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন ও মুগ্ধ ২টি এবং নাঈম হাসান ও সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট নেন।
খুলনা গেজেট/এএমআর