মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আব্দুল্লাহর সঙ্গে পরিচয় হয় বিথীর। সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমে। তিন মাস পর প্রেমিকের টানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আব্দুল্লাহর বাড়িতে চলে যান বিথী। সেখানেই তাদের বিয়ে হয়। চারদিন পর সেই বাড়ি থেকেই বিথীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে মঙ্গলবার রাতে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বুধবার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত বিথী আক্তার (১৯) যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বিথীর। ১৫ এপ্রিল বিথী পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। সেখানে আব্দুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। পরে বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানান বিথী। মঙ্গলবার রাতে সেহরি খাওয়ার সময় উঠে আব্দুল্লাহ স্ত্রীকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে খুঁজতে শুরু করেন। পরে পাশের ঘরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
বিথীর চাচা বাবু অভিযোগ করেন, হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন। বিথীর মরদেহ দেখলে স্পষ্ট সেটা বোঝা যাচ্ছে। গলায় ফাঁস দিলে দাগ থাকবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি জানা যাবে। এ ঘটনায় আপাতত থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই