ফেসবুকে পরিচয়, তারপর প্রেমের টানে খুলনার দাকোপে চলে এসেছেন চীনের সিচুয়ান প্রদেশের যুবক ঝাং বুথাও। বিয়ে করেছেন দাকোপের চালনা পৌরসভার আসাভুয়া খ্রিস্টান পল্লীর বাসিন্দা পিংকি সরকারকে। তাদের দেখতে গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
নবদম্পতির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চীনের সিচুয়ান প্রদেশে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা ছিল ঝাং বুথাওয়ের। অন্যদিকে এসএসসি পরীক্ষার পর বাড়িতে থাকতেন পিংকি। তার বাবা স্বপন সরকার একজন ভ্যানচালক। ফেসবুকে দু’জনের পরিচয় হওয়ার পর কেউই দু’জনের ভাষা জানতেন না। তখন সাহায্য নেন গুগল ট্রান্সলেটরের।
দু’জনেই গুগল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে আলাপ চালাতে থাকেন। পরিচয় থেকে সম্পর্ক গড়ায় পরিণয়ে। তখন ঝাং বুথাও সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ আসবেন। জুন মাসের শেষে তিনি দেশে আসেন। কয়েকদিন পরই মোংলায় খ্রিস্টান রীতিতে তাদের বিয়ে হয়। এখন দাকোপে পিংকিদের বাড়িতেই আছে নব দম্পতি।
সম্প্রতি আসাভুয়া গ্রামে পিংকির বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ তাদের দেখতে আসছেন। সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলছেন তারা। ঝাং বুথাও-এর কথা বুঝতে না পেরে সবাই হাসাহাসি করছেন। শুরুতে খাবারে সমস্যা হলেও এখন বাংলাদেশি খাবারেই মানিয়ে নিয়েছেন ঝাং বুথাওয়ে।
পিংকি সরদার বলেন, ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন অনলাইনে আমাদের বিয়ে দেখেছেন। তারাও খুব খুশি। ঝাং বুথাও এখানে ছোট ব্যবসা করার পরিকল্পনা করছে। এর মাঝে আমার পাসপোর্ট ও ভিসা করাবে। আমার মন চাইলে আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।’
মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে ঝাং বলেন, পিংকি এবং ওদের পরিবারের সবাই খুব ভাল। বাংলাদেশের মানুষও অনেক ভালো। আমি এখানে থেকে ব্যবসা করতে চাই।
পিংকির বাবা স্বপন সরকার বলেন, ‘প্রথম দিকে জামাইয়ের কথা বুঝতে পারতাম না। মোবাইলের অ্যাপের মাধ্যমে কথা বলি। ওর আচার ব্যবহার ভালো। ঈশ্বর ওদের সুখি করুক এটাই প্রার্থনা।’
খুলনা গেজেট/এএজে