খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রসূতি সেবায় অনন্য দৃষ্টিস্থাপন করেছে চৌগাছার সরকারি হাসপাতাল

মো: মহিদুল ইসলাম, চৌগাছা

করোনার ভিতরেও প্রসূতি সেবায় এক অনন্য দৃষ্টিস্থাপন করেছে যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এর আগেও বেশ কয়েকবার উপজেলা পর্যায়ে দেশ সেরার স্ব-গৌরভ অর্জন করেছেন এই সরকারি হাসপাতালটি।এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাকালেও যে পরিমান নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারীর (এনভিডি) হয়েছে যশোর, খুলনা ও কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও ঝিনাইদহ জেলা হাসপাতালেও তা হয়নি। এমনকি চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নরমাল ডেলিভারী হয়েছে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ৭ গুনেরও বেশি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দেশে করোনা সংক্রমন শুরু হতেই হাসপাতালে নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারীর (এনভিডি) পরিমান কমে যায়। এরপরও চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০২০ সালে নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ১ হাজার ৮৩৪ জন প্রসূতি মায়ের। যা খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ৭ গুনেরও বেশি। এইসময়ে খুলনা মেডিকেল ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ২৫৩ জনের, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ১ হাজার ২৫৪ জনের, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ১ হাজার ৭২৯ জনের এবং ঝিনাইদহ জেলা হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারী হয়েছে ১ হাজার ৫৫২ জনের।

একই বছর চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারী হয়েছে ৮০৭ জন প্রসূতি মায়ের। যা খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তিনগুনেরও বেশি। এই সময়ে খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সিজার হয়েছে ২৪৭ জনের, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সিজার হয়েছে ১ হাজার ৭২ জনের, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সিজার হয়েছে ১ হাজার ৪৩১ জনের এবং ঝিনাইদহ জেলা হাসপাতালে সিজার হয়েছে ৯৪৫ জনের।

এছাড়া ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ৮৪৬ জন প্রসূতি মায়ের নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারী এবং ৪১৭ জন প্রসূতির সিজারিয়ান ডেলিভারী সম্পন্ন হয়েছে। এই দেড় বছরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ২৬ হাজার ৩১জন প্রসূতি মা প্রসব পূর্ব সেবা নিয়েছেন এবং প্রসবত্তোর সেবা নিয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৯ জন মা।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ লুৎফুন্নাহার লাকি জানান, ২০২০ সালে করোনাকালে সারা দেশে হাসপাতালগুলিতে নরমাল ডেলিভারী কমলেও চৌগাছায় এ সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেনি। আমরা ২০১৬ সাল থেকেই নরমাল ভ্যাজাইনাল ডেলিভারীতে ৩টি ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও ঝিনাইদহ জেলা হাসপাতালের চেয়ে বেশি ডেলিভারী করেছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে করোনাকালে ২০২০ সালে আমরা এসব হাসপাতালগুলির চেয়ে বেশি পরিমান নরমাল ডেলিভারী করিয়েছি।

তিনি বলেন, এছাড় সিজারিয়ান ডেলিভারীতেও আমরা এসব হাসপাতালগুলির সাথে পাল্লা দিয়ে লড়েছি। এমনকি খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তিনগুণেরও বেশি সিজার হয়েছে এ হাসপাতালে। তিনি আরও বলেন, আমার হাসপাতালে কোন স্থায়ী এনেস্থেশিয়া ডাক্তার (অজ্ঞানকারী চিকিৎসক) নেই। একজন মেডিকেল অফিসারকে এনেস্থেশিয়ার ট্রেনিং দিয়ে তাকে দিয়ে আমাদের লেবার (প্রসূতি) ওয়ার্ড চালাতে হয়। তাছাড়া এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আমার ৭জন চিকিৎসক, ৬ জন নার্সসহ ৩৩ জন স্টাফ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুই জন চিকিৎসক দুই বার করে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে স্বাভাবিক স্বাস্থ্য সেবায় বিঘ্ন ঘটলেও আমার চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে চলেছেন।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!