প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চত করা হয় দীর্ঘদিন পলাতক থাকা খুলনার মশিয়ালীতে ট্রিপল মার্ডারের আলোচিত তিন আসামির। বাকি ৯ জনকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করে চার্জশিট দেওয়ার পূর্ণ আশ্বাস দিয়েছে খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার (৯ অক্টোবর) রাতে সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস প্রদান করেন মহানগর ডিবি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার বিএম নুরুজ্জামান।
তিনি জানান, প্রযুক্তির সকল ম্যানুয়াল ব্যবহার করে খুলনা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগরীর মিরপুর এলাকা হতে আসামি শেখ জাকারিয়া (৩৩), মোঃ মিল্টন শেখ (৪০) ও রেজওয়ান শেখ রাজু (২৫) কে গ্রেপ্তার করে। আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত আত্মগোপনে ছিল। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হত্যা মামলার আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হবে। আর, বাকি আসামিদেরও অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগে, শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকার ১৮ তলা একটি ভবন থেকে খুলনার মশিয়ালীতে ত্রিপল মার্ডার মামলার প্রধান আসামী বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকারিয়া, তার ভাই মিল্টন ও আরেক আসামী রাজুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর এনামুল হক জানান, গত ১৬ জুলাই নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী এলাকায় তিন জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর শেখ জাকারিয়া আত্মগোপন করে। অনেকদিন চেষ্টার পর জাকারিয়াকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে হত্যাকাণ্ডের কারণ এবং কারা কারা জড়িত ছিল সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি জানান, এই মামলার এজাহারভুক্ত ২২ জন আসামীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
গত ১৬ জুলাই রাতে খুলনা মহানগরীর ইস্টার্ণগেটের মশিয়ালী এলাকায় শেখ জাকারিয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই গ্রামের মোঃ ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)। এসময়ে গুলিবিদ্ধ হন মোঃ সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম পরদিন সকালে মারা যান। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখ নিহত হন। এছাড়া হত্যাকারী সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। পরে নিহত মোঃ সাইফুল ইসলামের পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় ২২জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ে (যার নং-১২, ১৮-৭-২০২০ইং) করেন।
খুলনা গেজেট / এমএম