খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪

Breaking News

  করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১
  তিন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল ৭ জনের
  রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় ইউপিডিএফ সদস্যসহ নিহত ২

প্রবন্ধ প্রকাশে চৌর্যবৃত্তি, ঢাবির ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন

গেজেট ডেস্ক

প্রখ্যাত দার্শনিক মিশেল ফুকোর প্রবন্ধ থেকে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে প্রবন্ধ প্রকাশ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২০১৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান (ক্রিমিনোলজি) বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’র ডিসেম্বর সংখ্যায় ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার: এ কেস স্টাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। তবে প্রকাশিত ওই প্রবন্ধের বিরুদ্ধে ‘চৌর্যবৃত্তি’র অভিযোগ আনে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।

শিকাগো প্রেসের অভিযোগ, প্রবন্ধের সিংহভাগ নেয়া হয়েছে প্রখ্যাত দার্শনিক মিশেল ফুকোর প্রবন্ধ ‘দি সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ থেকে। ১৯৮২ সালে তা শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত হয়। এর প্রকাশক ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো প্রেস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের প্রকাশিত প্রবন্ধটি আট পৃষ্ঠার। আর এই আট পৃষ্ঠার প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠাই মিশেল ফুকোর ‘দি সাবজেক্ট অ্যান্ড পাওয়ার’ প্রবন্ধ থেকে হুবহু নেয়া। শিকাগো জার্নালে প্রকাশিত মিশেল ফুকোর ওই প্রবন্ধ ছিল ১০ পৃষ্ঠার।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে দুটি কমিটি গঠন করে হয়। কমিটির তদন্তে সামিয়া ও মারজানের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে কোনো শাস্তির সুপারিশ করা হয়নি

তাই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী এএফএম মেজবাহ উদ্দীনকে প্রতিবেদনটি দেয়া হয় সুপারিশের জন্য। পরে গত বুধবার তিনি তা সিন্ডিকেটে নিয়ে আসেন। এরপর সিন্ডিকেট ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যেহেতু প্লেজারিজমের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে, তাই এখন তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তি নেয়া যায় তার জন্য এটাকে ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়েছে। সূত্র : যুগান্তর।

খুলনা গেজেট/এমআর




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!