খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিঁখোজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসি
  বাজারে থাকা এসএমসি প্লাসের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ, বাজারজাতকারীকে ১৬ লাক টাকা জরিমানা
সিনহা হত্যা মামলা

প্রধান আসামি প্রদীপ দায় নিতে চান না

গেজেট ডেস্ক

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে গতকাল বুধবার পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলা কারাগারে এ জিজ্ঞাসাবাদ চলে। কিন্তু সিনহা হত্যার দায় নিজের কাঁধে নিতে রাজি নন প্রদীপ। তিনি তদন্ত কমিটির কাছে বারবার বলার চেষ্টা করেন, হত্যার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত নয়। ডাকাত সন্দেহে সিনহাকে বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত আলী গুলি করেন। আর ওই গুলিতে নিহত হন সিনহা। সিনহা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তদন্ত দলের প্রধান ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান গতকাল রাতে বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনায় ওসি প্রদীপ কুমার গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু বলেছেন। কিন্তু হত্যার দায় তিনি স্বীকার করেছেন কি না, এ মুহূর্তে বলা যাবে না। তদন্ত প্রতিবেদনে সবই উল্লেখ থাকবে।

৪ দফায় টানা ১৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রদীপ কুমার দাশকে। কিন্তু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হননি তিনি।

জবানবন্দি শেষে কারাগারে তিন সাক্ষী
সিনহা হত্যা মামলার আরও তিন আসামি গতকাল কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন টেকনাফের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, নাজিম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াস। টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলায় এই তিনজনকে সাক্ষী রাখা হয়। পরে সিনহার বোনের করা মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে জবানবন্দির পর তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। আগে আরও দুই দফায় তাঁদের ১১ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেও তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা সম্ভব না।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা।

খুলনা গেজেট / এআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!