খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত
  শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত ২

প্রধানমন্ত্রীর গাড়ী বহরে হামলা : আজ স্বাক্ষ্যগ্রহণ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলা মামলার আজ রবিবার (২২ নভেম্বর)। স্বাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য আছে। চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে স্বাক্ষীদের উপস্থাপন করার কথা রয়েছে।

সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. আব্দুল লতিফ জানান, মামলাটির ১২৩ তম কার্যদিবসে ১১তম স্বাক্ষী হিসেবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ আজ স্বাক্ষ্য প্রদান করবেন। এছাড়াও আরও কয়েকজনের স্বাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করার প্রস্তুতি রয়েছে রাস্ট্রপক্ষের। তবে সুপ্রীম কোর্টের এ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার জজ আদালতে লিভ টু আপীল শুনানীর দিন ধার্য্য হওয়ায় সাক্ষীদের জেরা করছেন না আসামী পক্ষের আইনজীবীরা।

প্রসঙ্গতঃ ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ উঠে তৎকালিন ক্ষমতাসীন জোট সরকারের জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হলে সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামীপক্ষের আপীল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপর রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!