খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪

Breaking News

  ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত : রয়টার্স; জীবিত কারও সন্ধান মেলেনি : রেড ক্রিসেন্ট

প্রথম পুজোয় মিথিলার উপহার

বিনোদন ডেস্ক

করোনা মহামারীর কারণে চলতি দুর্গা পুজোর আনন্দটাও হয়তবা এবার মাটি হতে পারে। তবুও তারই মাঝে ‘কুড়িয়ে বাড়িয়ে’ যতটুকু আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায় আর কি।

পুজোতে নতুন জামা-কাপড় কেনার আনন্দই আলাদা। পুজোর গন্ধের সঙ্গেই মিলেমিশে যায় নতুন জামা-কাপড়ের গন্ধ। এই মহামারীর মধ্যে কীভাবে পুজোর কেনাকাটা করছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, সমাজকর্মী, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা? চলুন জেনে নেয়া যাক-

বিবাহ সূত্রে তিনি বর্তমানে সৃজিতের ঘরণী। পুজোতে কী কিনেছেন, কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন নিজেই জানালেন মিথিলা।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে মিথিলা বলেন, এটা যদিও আমার প্রথম পুজো নয়। গত বছরও ২-৩ দিন পুজোর সময় এখানে ছিলাম। তবে হ্যাঁ, বিয়ের পর এটা আমার প্রথম পুজো। (হাসি) এবার পুরো পুজোটাই এখানে থাকব। এখন এমন একটা অবস্থা যে, পুজোর জন্য খুব যে পরিকল্পনা করে কিছু করতে পারছি তা নয়। তবুও একটু একটু করে কেনাকাটা করছি। সবার জন্য উপহার কেনা। পাচ্ছিও প্রচুর। (হাসি) দিদি গিফট দিয়েছেন (সৃজিতের দিদি, মিথিলার ননদ), মাও দিয়েছেন (শাশুড়ি মা)। পর্বে পর্বে উপহার পাচ্ছি। (হাসি) মা এখন একটা সালোয়ার কামিজ দিয়েছে।

পুজোয় বেড়াতে যাওয়া প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, আমরা শান্তিনিকেতন বেড়াতে যাব। ওখানে কিছু কেনাকাটা করব ঠিক করেছি। শান্তিনিকেতনের হাতে বানানো শাড়ি আমার খুব পছন্দ, সেটা মাকে বলেছি।

মিথিলা আরো বলেন, পুজোর স্পেশাল যে গিফট, সেটা সৃজিতই আমায় দেবে। ওটা বাংলাদেশেই অর্ডার দেওয়া হয়েছে। আমি তো খুব জামদানি পরি। আমার একজন ডিজাইনার আছেন, ওখান থেকে আমি অনেক জামদানি কিনি। তিনিই বানাচ্ছেন। পুজোর আগেই পেয়ে যাব আশাকরি। আমি নিজের জন্য তো কিছু কিনিনি। মাকে একটা অ্যালেক্সা কিনে দিয়েছি। মা গান শুনতে ভালোবাসেন, নিজেও সেতার বাজান। আর দিদি, ভাগ্নীর জন্য গিফট কিনেছি।

স্বামী সৃজিতের জন্য় স্পেশাল গিফট হিসাবে বাংলাদেশ থেকে পাঞ্জাবির কাপড় এনেছেন মিথিলা। তিনি বলেন, আমাদের দুজনেরই সুকুমার রায় খুব পছন্দ। সুকুমার রায়ের কবিতা লেখা আমার একটা শাড়ি আছে, ওই একই কাপড়ের পাঞ্জাবি সৃজিতের। এটা অর্ডার দিয়ে বানানো হয়েছে।

মেয়ে আইরা ও সাজগোজ প্রসঙ্গে বলেন, মা (শাশুড়ি মা) একটা ড্রেস বুটিকে অর্ডার দিয়েছে। যদিও পুজোয় তো বের হতে পারব বলে মনে হয় না। বাড়িতেই শাড়ি পরব, সাজবো। এবার যেমন বাংলাদেশে ঈদ হয়েছিল, বাড়িতেই আমরা সেজেগুজে ছবি তুলেছি। তেমনই হবে পুজোতেও। আর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও আড্ডা দেব। যেমন অনুপম (গায়ক অনুপম) আমাদের বিল্ডিংয়েই থাকেন। যতটা সম্ভব নিরাপত্তা বজায় রেখে আড্ডা দেওয়া যায়।

শেষমেশ আক্ষেপের সুরে মিথিলা বলেন, এখন এই মহামারীর কারণে মা, দিদি সবাই এক বাড়িতেই আছি। বাড়িতেই হইচই হবে। পুজো দেখতে বের হব কিনা বুঝতে পারছি না। যদিও বিয়ের পর প্রথম পুজো, অনেক পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। প্যান্ডেল হপিং তো হবে না। মায়েরা যেখানে থাকেন, ওখানে হয়তো পুজো হবে, যাব। এই আর কি…!

 

খুলনা গেজেট / এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!