ফেসবুকে নিজের ছবি আপলোড করেন এক শিক্ষার্থী। ছবির নীচে অশ্লীল মন্তব্য করা হয় অন্য একটি একাউন্ট থেকে। যার প্রতিকার পেতে পাঁচদিন আগে পিবিআই খুলনা জেলার পুলিশ পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন তিনি।
এরপর ফোনে কথা চলতে থাকে উভয়ের মধ্যে। একপর্যায়ে প্রতিকারের আশ্বাস দেওয়া হলে ডুমুরিয়া থেকে খুলনায় চলে আসেন শিক্ষার্থী। পরে তাকে নগরীর ছোট মির্জাপুর কাগজী বাড়ির একটি অফিস কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পর সে খুলনা থানায় জানালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা। রাতে ভিকটিমের বাবা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশকে এখনও খুঁজে পায়নি বলে জানিয়েছে।
খুলনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন বলেন, পাঁচদিন আগে মেয়েটির সাথে পুলিশ পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের পরিচয় হয় ফেসবুকের একটি সমস্যাকে কেন্দ্র করে। পরবর্তীতে ভিকটিমকে সমস্যা সমাধান করার কথা বলে খুলনায় আসতে বলে। দুপুর ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীকে মাসুদ ছোট মির্জপুরের ঐ অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়। যা সে খুলনা থানায় এসে অভিযোগ করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পান তিনি। পরে তাকে ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়।
মেয়ের বাবাকে ডুমুরিয়া থেকে খুলনা থানায় আনা হয়। রাতে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে খুলনা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মঞ্জুরুল হাসান মাসুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে মাসুদের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কাগজীবাড়ির ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের একজন বলেন, ৯ নং মির্জাপুরের ওই বাড়ির নীচতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে আছি। সেখানে হাসান তারেক জাকির নামে এক ব্যক্তি সাবলেট হিসেবে থাকেন। তার সাথে পিবিআইয়ের ওই কর্মকর্তার সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্কের সূত্র ধরে আজকের এ ঘটনা। আগে পরে এমন কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তিনি বলতে পারেন না।
খুলনা গেজেট/ এস আই