জেঁকে বসেছে শীত, সেই সাথে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেঁকে যাচ্ছে মাঠ-ঘাটসহ সর্বত্র। শীত আর কুয়াশায় স্বাভাবিক কাজকর্মে সৃষ্টি হচ্ছে চরম বেঘাত, প্রচন্ড শীতে ছিনমুল মানুষেরা বেজায় কষ্টে আছেন। একই সাথে কর্মজীবি মানুষরাও পড়েছেন চরম বিপাকে।
গত চার দিন ধরে চৌগাছার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে হাঁড় কাপানাে শীত, সেই সাথে ঘন কুয়াশা। দিনের বেলায় সূর্যর আলাে দেখা গেলেও কমেছে না শীত, আর সকাল ৮ টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢেঁকে থাকছে মাঠ ঘাটসহ সর্বত্র। এ সময় সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। শীতকে উপেক্ষা করে মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।
শীত আর কুয়াশা ভেঙ্গে শিশু শিক্ষার্থীরা ছুটে চলেছেন প্রাইভেট পড়তে। তবে বেশি কষ্টে রাত পার করেছেন বাজার ঘুরে বপড়ানা ছিনমুল মানুষেরা। প্রচন্ড এই শীতে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় জড়ােসড়াে হয়ে মােটা কাপড় গায়ে দিয়ে রাত পার করার চেষ্টা করছেন।
বুধবার ভােরে চৌগাছা-মহেশপুর সড়কে যেয়ে দেখা যায়, কপােতাক্ষ নদের ব্রিজ ঢেকে আছে ঘন কুয়াশায়। দশ হাত দুরেও কিছু দখা যায় না। সকালে সড়কে হাটা ব্যাক্তিরা বাড়তি সতর্কতা নিয়ে হেটে চলেছেন। বাস বা অন্যান্য বাহনের চালকেরা দুর্ঘটনা এড়াতে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছেন সড়কে। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা ভােরে প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়িতে যেতে শীত আর কুয়াশায় নাস্তা নামুদ হয়ে পড়ছে। গাছিরা শীতে থরথর করে কাপছেন তারপরও খেঁজুর গাছ হতে রস সংগ্রহে বেশ ব্যস্ত।
ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে খেঁজুর গাছ হতপ রস সংগ্রহ করতে এসেছেন বেলমাঠ গ্রামের হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে যদি শীত না পড়ে তাহলে ভালো লাগেনা। তবে এ বছর সত্যপ্রবাহ ছাড়াই যে শীত পড়ছে তাতে স্বাভাবিক কাজ চরম বেঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। শীতে হাত পা সব যেন অবাশ হয়ে যাচ্ছে।
এ দিকে পৌষের এই হাঁড় কাপানাে শীত ছিনমুল মানুষের কষ্ট কয়েক গুন বেড়ে গেছে। তাদের নেই মাথা গােজার ঠাই, নেই পর্যাপ্ত শীতের পােষাক। যে কারনে দিনে বা রাতে সারাক্ষই কষ্টে পার হচ্ছে তাদের সময়।
খুলনা গেজেট/ টিএ