যশোরের কাঁচাবাজার নিয়ে জটিলতা নিরসনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে বাজার কেন্দ্রিক জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ সবজি ভ্যান কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে যাবে এ ভ্যান।
সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় পৌঁছে যাবে এবং সেখান থেকেই ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করা হবে। বড়বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা নতুন নির্ধারিত স্থান ঈদগাহ মংদানে না গিয়ে ব্যবসা বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। এসব বিষয় বিবেচনা করেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
যশোরের প্রধান কাঁচাবাজার শহরের বড়বাজার বন্ধ থাকায় রোববার চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বড়বাজার ও ঈদগাহ ময়দান ঘুরে মানুষ সবজি কিনতে না পেরে শহরের আশপাশ থেকে সংগ্রহ করেছেন। এ কাজে অনেককে সবজির দামের থেকে যাতায়াত খরচ বেশি গুণতে হয়েছে।
এদিকে, সোমবারও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা তাদের দাবির বিষয়ে অনড় ছিলেন। তারা বাজার বসাননি। একইভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে আড়ৎদারদের। এদিন তারা দাবি করেছেন, শহরের আশপাশ থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মালামাল কিনতে বাধা সৃষ্টি করেছেন বড়বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে ক্ষুদ্র বাজার ব্যবসায়ীদের দাবি, বৃষ্টির মধ্যে কোনোভাবেই ঈদগাহে ব্যবসা করার পরিস্থিতি নেই। এ কারণে তারা নতুনস্থানে যেতে চাচ্ছেন না। আর ব্যবসা করতে না পেরে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সমস্যা ও দাবি নিয়ে সোমবার তারা জেলা প্রশাসক ও পৌরমেয়র বরাবর স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা সুশান্ত সাহা।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, এখন থেকে মানুষকে সবজি কেনার জন্য আর বাজারে আসতে হবে না। শহরের পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে আঠারোটি ভ্যান মানুষের দৌড় গোড়ায় সবজি পৌঁছে দেবে। তিনি আরও বলেন, বড়বাজার করোনা ভাইরাস বিস্তারের অন্যতম স্থান। মাছবাজার সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কাঁচাবাজার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মুদি দোকান খোলা রয়েছে ঠিকই, তবে তারা যদি নির্দেশনা না মেনে চলেন তবে প্রয়োজনে গোটা বড়বাজারই লকডাউন করে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, যশোরে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বড়বাজারের সবজির দোকান বন্ধ করে ঈদগাহ ময়দানে বসানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা না মেনে পাল্টা ব্যবসা বন্ধের ডাক দিয়েছেন। গত দু’দিন তারা বাজার বসাননি। এ কারণে জনগনের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।