বাংলাদেশ পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের অতন্ত্র প্রহরী। পুলিশ সদস্যরা নিজের জীবনকে বাজি রেখে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়। এ কারণে তারা দেশের সাহসী যোদ্ধা। তাদেরকে আমাদের যথাযথ সম্মান, মূল্যায়ন ও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কৃত করতে হবে।
সোমবার দুপুর ৩টায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে যশোর পুলিশ লাইন্সে জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক দেশে আন্দোলনের নামে রাজপথে আগুন সন্ত্রাস করতে দেবে না পুলিশ। তারা রাস্তায় নেমেই এসব অবৈধ কর্মকান্ড প্রতিহত করবে। তিনি আরও বলেন, এক সময়ের ভয়ঙ্কর জনপদ দক্ষিণাঞ্চলের চরমপন্থী নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এখন দক্ষিণের মানুষ নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে। এ শান্তির দাবিদার পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
আইজিপি বলেন, স্বাধিনতা যুদ্ধেও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জীবন দিয়েছে, পচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে গিয়েও তারা জীবন দিয়েছে। এ কারণে দেশের উন্নয়নসহ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
এদিন বিকেল ৩ টা ৮ মিনিটে যশোর পুলিশ লাইন্সে বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বেলুন উড়িয়ে এবং ক্রীড়া মশাল প্রজ্জ্বলের মাধ্যমে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন। এরপর জেলা পুলিশের কুচ কাওয়াজ ও প্যারেড দল প্রধান অতিথিকে অভিবাদন জ্ঞাপন করে। এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময় নিয়ে ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া দেশের গানের সাথে দলীয় নৃত্য অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত ও মনমুগ্ধকর করে তোলে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী ডাক্তার তাইয়্যেবা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী ও খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মাইনুল হক। সভাপতিত্ব করেন যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার। অনুষ্ঠানে যশোরসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে যশোরের গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড