পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশের মারণাস্ত্র ব্যবহারে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মানা হয়নি। পুলিশ সদস্যরা জাতিসংঘ মিশন গেলে যে মানদণ্ড মেনে থাকেন, এ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। পুলিশ এটি নিয়ে কাজ করছে।
শনিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নিরপরাধ কাউকে মামলার আসামি করা হলেও ভয়ের কারণ নেই। আসামি হলেই গ্রেপ্তার করা হবে না। তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেই গ্রেপ্তার করা হবে। আর মব জাস্টিসের নামে কেউ আইন হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যা ব) মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহিদুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) আবদুল মান্নান মিয়াসহ সিএমপি ও রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
আইজিপি বলেন, মামলায় অনেক সাংবাদিকের নাম আছে। পুলিশ সদস্যও আসামি হয়েছেন। যারা সত্যিকার অর্থে ঘটনায় জড়িত, তাদের আসামি করলে মামলা শক্ত ও তদন্ত সহজ হয়।
আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবমুখরভাবে পালিত হবে জানিয়ে আইজিপি বলেন, পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে।
এর আগে সকালে রাজধানীর মিরপুরের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, ‘কাজের মধ্য দিয়েই পুলিশকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। একটি পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। মুষ্টিমেয় সদস্যের অপেশাদার কার্যকলাপের কারণে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট তৈরি হয়। এটি পুলিশ বাহিনীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তবে আমরা দিনরাত পরিশ্রমের মাধ্যমে পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
খুলনা গেজেট/এইচ