পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত এগারোটায় রায়েরমহল এলাকায় সালমান শাহ (২৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। ৮ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে সেই যুবক। নিহত সালমান শাহ রূপসা সামন্তসেনা গ্রামের সেকেন্দার আলীর সেজ ছেলে ।
আড়ংঘাটা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ নিয়ে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকায়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রূপসা থেকে আড়ংঘাটা থানার রায়েরমহল পশ্চিমপাড়া এলাকায় বন্ধু রোমান খন্দকারের বাড়ি আসেন । কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্থানীয় জাহাঙ্গীর , আলমগীর, রব, দিপু ও পিন্টু খন্দকার ওত পেতে বসে থাকে। সালমান শাহ রাত ১০ টার দিকে এলাকায় ঢুকলেই প্রথমে তাকে ডাক দিয়ে, পরে তাকে চোর বলে ধাওয়া দিয়ে ধরে গণপিটুনি দেয়। এ সময় তার মাথায় ইট দিয়ে, পিটিয়ে তার হাত পা ও পাঁজরের হাড় ভেঙে দেয় এবং মাথায় আঘাত করলে বমি হতে থাকে।
প্রথমে স্থানীয় লোকজন ধরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তির ৮ দিন পর মৃত্যুর সাথে লড়ে অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। নিহত সালমান শাহ’র ভাই মোহাম্মদ শাহিন শেখ বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে রয়েছে আজিম খন্দকারের ছেলে জাহাঙ্গীর খন্দকার ও আলমগীর খন্দকার, আব্বাস খন্দকারের ছেলে দিপু খন্দকার, রাব্বানী খন্দকারের ছেলে পিন্টু খন্দকার এবং রব খন্দকার।
খুলনা গেজেট/এএ