কেশবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধর্রে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর উপর হামলা চালিয়ে গুরুত্ব আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহতকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত গৃহবধূর দাতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী শহিদুজ্জামান লিটন বাদি করে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের সামাদ মৃধার ছেলের সাথে প্রতিবেশী শহিদুজ্জামানদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে বুধবার বিকেলে শহিদুজ্জামানের বসত বাড়ির উঠানে এসে প্রতিবেশী সামাদ মৃধা, তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন ও ছেলে তৌহিদুজ্জামান মৃধা অশ্লীল অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ শুরু করিলে প্রতিবার করায় প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে তাদের হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে শহিদুজ্জামানের স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বা রাহিনা খাতুনকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিঠ করে গুরুত্ব আহত করে।
এ সময় তার স্বামী শহিদুজ্জামান ঠেকাইতে গেলে তাকেও মারপিঠ করে আহত করে। স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আহতরা হলেন- শহিদুজ্জামান (৩৬) ও তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বা রাহিনা খাতুন (৩০)। মারপিঠের সময় রাহিনা খাতুনের হাতে থাকা ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি টাচ ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে ক্ষতি সাধর করে হামলাকারীরা। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী শহিদুজ্জামান লিটন বাদি করে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।