খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৭ মে, ২০২৪

Breaking News

জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গেজেট ডেস্ক

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার মামলা দায়ের করেছে দুদক।

৪ আগষ্ট দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া এবং স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনকে আসামি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ১২ অক্টোবর থেকে র্যা ব কর্তৃক গ্রেফতার হওয়ার দিন অর্থাৎ চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুলশানের একটি বিলাসবহুল হোটেলের প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট এবং চেয়ারম্যান স্যুটসহ ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ), স্পা, লন্ড্রি, মিনিবার ফুড, মিনিবার বাবদ মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬০ টাকার বিল শামীমা নূর পাপিয়া নিজেই ক্যাশে পরিশোধ করেন। তিনি বিলাসবহুল জীবনযাপন পছন্দ করতেন বিধায় ওই বিলাসবহুল হোটেলে থাকাবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেছেন বলে জানান।

পাপিয়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছর মাসিক ৫০ হাজার টাকা হারে ৩০ লাখ টাকা বাসাভাড়া দিয়েছেন। গাড়ির ব্যবসায় ১ কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা আছে।

র‌্যাব পাপিয়ার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। মফিজুর রহমান সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের একটি গাড়ি আছে, যার দাম ২২ লাখ টাকা। এভাবে ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকা জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জনপূর্বক তা খরচ করে পাপিয়া-সুমন দম্পতি। এসব টাকা অজর্নের পক্ষে কোনো বৈধ উৎস তারা দেখাতে পারেননি।

এসব সম্পদ অর্জনের আয়ের উৎসের সপক্ষে কোনো দালিলিক প্রমাণাদি উপস্থাপন না করায় ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার সম্পদ তাদের জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ বলে প্রতীয়মান হওয়ায় এবং জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের দ্বারা অর্জিত ওই পরিমাণ জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ তাদের ভোগদখলে রেখে অভিযুক্ত শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়। (সূত্র- দৈনিক যুগান্তর)

 

 

খুলনা গেজেট / এনআইআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!