পানখালীর পশুর নদী গর্ভে বিলীন হওয়া ২শ’ মিটার বেঁড়িবাঁধের পাশদিয়ে বিকল্প রিং বাঁধ দিয়ে নদীর পানি উঠা বন্ধ করা হয়েছে। নদী গর্ভে গৃহহারা ১৫টি পরিবারের প্রায় অর্ধশত লোকজনের মধ্যে কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে আবার কেউ বেঁড়িবাঁধের উপর পলিথিন টানিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। লোকালয়ে ঢুকে পড়া নদীর পানিতে প্লাবিত হওয়া দুইটি গ্রামের ১৯টি কাঁচাঘর বাড়ির ধসে পড়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত ভোর রাতে পশুর নদীর প্রবল ভাটার টানে উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের পানখালীা গ্রামের পাউবোর ২শ’ মিটার ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধসহ ১৫টি বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়। নদী ভাঙ্গন স্থানে পাউবো পরের দিন দুপুরে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে শ্রমিক নিয়ে কাজ করলেও পশুর নদীর জোয়ারের তোড়ে তখন রিং বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। পরে আবার কাজ করে বৃহস্পতিবার উক্ত স্থানের রিং বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি উঠা বন্ধ করা সম্ভব হয়। পাউবো কর্তৃপক্ষ ওই স্থানের রিং বেঁড়িবাঁধটি টেকসই করার জন্য এখনোও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, দুইদিন ধরে নদী ভাঙ্গন স্থানে কাজ করে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধের বিকল্প স্থান দিয়ে রিং বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে ওই রিং বাঁধটি টেকসই করার জন্য এখনও পাউবো’র নেতৃত্বে কার্যক্রম চলামন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন,লোকালয়ে পানি উঠা বন্ধে উক্ত স্থানে সর্বাক্ষনিক তদারকির পর পাউবো’র মাধ্যমে রিং বাঁধ নির্মাণে পানি উঠা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের জন্য এক টন চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের পূনঃবাসনে জন্য কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।