অভয়নগর বালির ড্যাম্প থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত ওই যুবকের নাম ফরিদ গাজী। উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার গুয়াখোলা শাহী বস্তির বাসিন্দা আফিল উদ্দিন গাজীর ছেলে সে। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু উদ্ধার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হল, নড়াইল সদর থানার যদুনাথ পুর গ্রামের সাখাওয়াত মোল্যার ছেলে শান্ত ও একই গ্রামের ছবুর মোল্যার ছেলে সাকিব মোল্যা।
আসামি আটকের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, নিহত যুবকের নামে ধর্ষণ মামলা রয়েছে। কারাগারে থাকা কালীন উল্লিখিত দু’ আসামির সাথে নিহত ফরিদ গাজাীর পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ে তারা তিনজন একটি রুম ভাড়া নিয়ে নওয়াপাড়া বেঙ্গল মিল এলাকায় বসবাস করত। তারা জাহাজের স্কটসহ বিভিন্ন কাজ করত। মাঝেমধ্যে তারা চুরিও করত। গ্রেপ্তার হওয়া ওই দু’যুবকের কাছ থেকে জানা গেছে, নিহত ফরিদ গাজী তাদের কিছু টাকাও আত্মসাৎ করেছে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার হওয়া ওই দু’জন স্যালো মেশিন চুরির কথা বলে ফরিদকে ভৈরব ব্রীজের কাছে ডেকে নেয়। এরপর তাকে জবাই ও গলায় ছুরি ঢুকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের আটক করে।
নিহতে বোন আসমা বলেন, তার ভাই জাহাজে কাজ করত, কখনো অন্য কাজও করত। ফরিদ নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের পাশে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করত। ওই বাসায় তার আরও দুই বন্ধু ভাড়া থাকত। টাকা নিয়ে ওদের মধ্যে বিবাদ ছিলো। এ কারনে তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে গলা কেটে হত্যা করেছে ওই দু’জন।
উল্লেখ্য, রবিবার দুপুর ২ টায় স্থানীয় লোকজন ভৈরবব্রীজের পাশে দক্ষিণ দেয়াপাড়া গ্রামে মাটি কাটা শ্রমিকেরা বালির ডিপোর ওপর থেকে ফরিদের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে বিকাল ৪ টার সময় লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রাতে লাশের আঙ্গুলের ছাপ শনাক্ত করণ করার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে লাশের পকেটে একটি চিরকুটে পাওয়া মোবাইল নং ধরে লাশের পরিচয় শনাক্ত এবং আসামি গ্রেপ্তার হয়।
খুলনা গেজেট/এসজেড