খুলনার পাইকগাছা পৌরসভায় চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। শুক্রবার কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন। এদিন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে কঠোর নজরদারি। এর আগে বুধবার (০৯ জুন) বিধিনিষেধ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলায় নোবেল করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির গত ৭ জুনের সভার সিদ্ধান্ত ও সার্বিক তথ্য বিশ্লেষণপূর্বক বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (২১ জুন) রাত ১২টা পর্যন্ত পাইকগাছা উপজেলার পৌর সভায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
বিধিনিষেধ অনুযায়ী, বিধিনিষেধ চলাকালে পৌরসভা সকল দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ থাকবে। কাঁচা বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। নির্ধারিত সময়ের পরে কোন কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান খোলা রাখা যাবে না। সমস্ত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাক্স পরিধান, ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।
ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। হোটেল-রেস্তোরাগুলো শুধুমাত্র পার্সেল/প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোন রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক কেউ অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করা যাবে না।
উপজেলার সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
উপজেলার বাজার খেয়াঘাট ও দোকানপাট সমূহ জনসমাগম করা যাবেনা উপজেলা সকলকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। কেনাকাটার ক্ষেত্রে সকলকে ন্যূনতম তিন ফিট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে।
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সংশ্লিষ্ট সকলকে কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য বলা হলো। অন্যথায় দন্ডবিধি ১৮৬০ ও সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সংশ্লিষ্ট ধারায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌরসদরে লোকজনের উপস্থিতি একেবারে কম। নির্দেশিত ছাড়া অন্য সকল দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। হোটেল রেস্টুরেন্ট খোলা থাকলেও সেখানে বসে খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ শাহারিয়ার হক, পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এজাজ শফি, ওসি (অপারেশন) স্বপন রায় পৌরসভা অভ্যন্তরে স্বার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম