খুলনার পাইকগাছায় ইনভয়েস ছাড়া খাদ্যগুদামে খাবার অনুপযোগী চাল মজুদকালে তা বন্ধ করে ফেরত পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম।
রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা থেকে দু’টি ট্রাকে সর্বোমোট ৪০ মেট্রিকটন খাওয়ার অনুপযোগী চাল উপজেলা খাদ্যগুমামে পৌঁছালে কর্তৃপক্ষ ট্রাক থেকে সেগুলো
নামিয়ে গুদামে মজুদ করছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম তাৎক্ষণিক খাদ্যগুদামে পৌঁছে চাল মজুদ বন্ধ করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেখতে চাইলে গুদাম কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক দেখাতে ব্যার্থ হলে পরবর্তীতে ইউএনও’র নির্দেশে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুর রহমান খাদ্যগুদামে পৌছে ইনভয়েস ব্যতিত কি ভাবে চাল আনা হলো? এমনকি মজুদকৃত ওই সকল চাল তিনি নিম্ন মোটাদানার এমনকি খাবার অনুপযোগী ঘোষণা করেন।এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাসহ উপজেলার বড় ধান চাউলের মোকাম কপিলমুনির চাল ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা শিবুপদ ঘোষ জানান, ৫শ টনের প্রোগাম এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থেকে রবিবার সকালে দুটি ট্রাকে করে ৪০ মেঃ টন চাল খাদ্যগুদামে পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শনে এসে আনলোড বন্ধ করে দেন । কিন্তু ইনভয়েস বা কগজপত্র ব্যতিত নিন্মমানের চাল কি ভাবে খাদ্যগুদামে পৌছালো বা কারা আনলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে, সরকারিভাবে এ চাল আনা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরোও বলেন, সকালে কাগজপত্র বা ইনভয়েস দেখাতে না পারলেও দুপুরের পর এ সংক্রান্ত কাগজপত্র খাদ্যগুদামে পৌঁছালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা যাচাই করেছেন। তবে ওই চালগুলো নিন্মমানের খাবার অনুপযোগী প্রমানিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়ে চাল ফেরৎ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম জানান, রবিবার সকালে ট্রাকযোগে চাল খাদ্যগুদামে পৌঁছালে সেগুলো আনলোডকালে তা বন্ধ করে সংশ্লিষ্ঠ কাগজপত্র চাইলে কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে পারেনি। তবে বিকেলে কাগজপত্র দেখালেও চালগুলো খাওয়ার অনুপযোগী ন্ন্মিমানের হওয়ায় স্যাম্পল রেখে তা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি