খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  ড. শেখ আব্দুল রশিদকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে ২ বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ
  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
  ছয় মামলায় সাবের হোসেনের জামিন, কারামুক্তিতে বাধা নেই
  বাংলাদেশী ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরকান আর্মি

পাইকগাছা-কয়রায় সুপেয় পানির ৩৪.৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প

শেখ নাদীর শাহ্, পাইকগাছা

সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনার পাইকগাছা-কয়রার সুপেয় পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা কমিটির সভায় অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পটিতে রয়েছে, রেইন ওয়াটার হারভেষ্ট (ট্যাংকি), গভীর নলকূপ, ওয়াস ব্লকসহ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা।

সুন্দরবন উপকূলীয় এ অঞ্চলে সুপেয় পানির দীর্ঘ দিনের সংকট নিরসনে বিভিন্ন সময় জিও-এনজিও পর্যায়ে নানা প্রকল্প হাতে নিলেও বরাবরই তা লবনাক্ততার কাছে পরাস্থ হয়েছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে খুলনার পাইকগাছা-কয়রা উপজেলার নদ-নদীসমূহের নানাভাবে সংযোগ রয়েছে। ফলে সাগরের লবনাক্ত পানি সরাসরি পৌছে যায় উপজেলাগুলোর তৃণমূল পর্যায়ে। এতে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে কোনো প্রকল্পই সফলতার মুখ দেখেনি। তবে সর্বশেষ সরকারের এই নতুন প্রকল্প নতুন করে আশা জাগাচ্ছে জনপদের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে। অধিকাংশ এলাকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে কয়রা-পাইকগাছার প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জানান, অব্যাহত প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপর্যস্থ এ অঞ্চলের মানুষ বছরের সিংহভাগ সময় নানা সংকটে অতিবাহিত করেন। বিশেষ করে নিরাপদ বেড়িবাঁধ ও সুপেয় পানির অভাব বরাবরই তাদের সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করে।

যে সকল এলাকায় সরাসরি লবণ পানি পৌছায় না সেসব এলাকাতেও চিংড়ি চাষের নিমিত্তে কৃত্রিমভাবে ঢুকানো হয় লবণ পানি। এক দিকে লবণ পানির আধিক্য অন্যদিকে আর্সেনিকোসিস ও আয়রণের ধকল। যে সকল এলাকায় আয়রণ’র পরিমাণ কম সেখানে আর্সেনিকের পরিমাণ বেশি। আবার যে সকল লবণাক্ততার পরিমাণ বেশি সেখানে আর্সেনিকের পরিমাণ কম। এক কথায় উপকূলের এ অঞ্চলে সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘ দিনের।

এ ব্যাপারে খুলনা-৬ (পাইকগাছা-কয়রা)’র সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘ দিনের। গভীর নলকূপও এ অঞ্চলের অনেক জায়গায় কাজে আসে না, অগভীর নলকূপের পানিও পানযোগ্য নয়। সংকট নিরসনে বিশেষ সফলতাও আসেনি। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প দাখিল করা হয়।

সর্বশেষ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিটির সভায় উপকূলীয় পাইকগাছা-কয়রা উপজেলায় সুপেয় পানির সংকট নিরসনে ৩৪.৭৯ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প’র অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় উপজেলা দু’টিতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল এমপি, পরিকল্পনা মন্ত্রী, এলজিআরডি মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

খুলনা গেজেট/ এস আই




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!