তৃতীয় ধাপে খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দুই প্রার্থীসহ ৪৬ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যদিয়ে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) পঞ্চম বারের মত অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের নয়টি ভোটকেন্দ্রে বিরতীহীনভাবে ভোটগ্রহন হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভায় মোট ভোটার আছে ১৪ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ৭৩ জন ও মহিলা ৭ হাজার ৩৫৮ জন ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বিএনপি মনোনীত মো. মনিরুজ্জামান মনি শেষদিকে শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তাঁরা হলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ও সিপিবি মনোনীত অ্যাডভোকেট প্রশান্ত কুমার মণ্ডল। এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জন এবং সাধারন কাউন্সিলর পদে ৩২ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
এদিকে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে পৌরসভার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট-বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আইন-শৃংখলার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের কাছে হস্তন্তর করা হয়েছে। বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন সরঞ্জামাদি বিতরণে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামালউদ্দীন আহমেদ।
নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। তিনি খুলনা গেজেটকে বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ খুবই ভাল রয়েছে। পাশাপাশি আইন-শৃংখলা অবস্থাও জোরদার রয়েছে। পৌরসভা অভ্যন্তরে এক প্লাটুন বিজিবি সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছে। নির্বাচনের দিন নয়জন ম্যাজিষ্ট্রেট ও র্যাবের ২টি টিম নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমানে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। ৩, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ বলা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন মনে হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ভোটারেরা যাকে বেশি ভোট দিবে, সেই প্রার্থীই বিজয়ী হবেন। কেউ নির্বাচনী আচারণবিধি ভঙ্গ করলে এবং নির্বাচনে কোন প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
খুলনা গেজেট / এআর